ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১২ অগাস্টঃ (Latest News) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার সকালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পরই আদালতে তোলা হয় সৌরভকে। শুক্রবার রাতেই সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হয় তাঁকে।
এই প্রসঙ্গে, সৌরভের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। স্বপ্নদীপ সৌরভের রুমমেট বা বন্ধু ছিলেন না। এমনকী স্বপ্নদীপের বাড়িতে যে ফোন দিয়ে খবর দেওয়া হয় সেটাও সৌরভের নয়। পুলিশ অনুমানের ভিত্তিতে সৌরভকে গ্রেফতার করেছে। সৌরভের আইনজীবী আরও প্রশ্ন তোলেন, যে ব্যক্তি স্বপ্নদীপের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন, পুলিশ কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল না?
উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের হস্টেলের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বপ্নদীপের দেহ। তিনতলা থেকে নীচে পড়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর, এক কথা পরিষ্কার। কিন্তু কীভাবে তিনি নীচে পড়ে গেলেন, সেটাই এখন তদন্তসাপেক্ষ।
শুক্রবার সকালে স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়ার নাম উঠে আসে । তাঁর অভিযোগ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলের।
অন্যদিকে, পুলিশের অনুমান, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে সৌরভের যোগ রয়েছে। শুধু একা সৌরভ নন, আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছে এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে।
আরও প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তনইরা হস্টেলে দিনের পর দিন কীভাবে থেকে যায়? কেন ঘটনার দিন রাতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়? কিছু কি চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? কেন এত বাড়বাড়ন্ত প্রাক্তনীদের? বছরের পর বছর ধরে উঠেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। কবে বন্ধ হবে? আর কত পড়ুয়ার প্রাণ কেড়ে নেবে এই র্যাগিং? (EVM News)