নিজস্ব সংবাদদাতাঃ  কথায় বলে, “বিয়ের কোনও বয়স হয় না।” আর যে কতখানি সত্যি, তার প্রমাণ দিলেন, উত্তরপ্রদেশের বদলগঞ্জ কোতোয়ালি এলাকার ছাপিয়া উমরাও গ্রামের বাসিন্দা কৈলাস যাদব। আর ৭০ বছর বয়সী কৈলাসের সেই দুঃসাহসিক নতুন জীবন শুরুর সিদ্ধান্তে সওয়ার হলেন তাঁরই সেজো পুত্রবধূ, ২৮ বছরের পূজা। নিজেদের সিদ্ধান্তেই আত্মীয়-স্বজন আর গ্রামবাসীদের নিয়ে সদলবলে স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে, ৪২ বছরের ব্যবধান ভুলে  সাতপাক ঘোরার শাস্ত্রীয় বিধি সেরে ফেললেন কৈলাস ও পুজা।
অবশ্য এই পর্যন্ত পড়েই আবার থেমে যাবেন না। কারণ এরপরেও রয়েছে চমকে দেওয়া আরও নানা তথ্য। জানা গেছে, প্রায় একযুগ আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে আর পুত্রবধূদের সেবাযত্নেই দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছিলেন কৈলাশ। কিন্তু ছন্দপতন ঘটল সেজো ছেলে মারা যাওয়ার পর। এখানেই এই খবরের আসল গল্প লুকিয়ে। কারণ তাঁর সঙ্গে দিনদুয়েক আগে ৭০ বছরের কৈলাশ যাদবের চার হাত এক হয়েছে, সেই ২৮ বছরের নববধূ পূজা আসলে কৈলাশের সেজো ছেলের স্ত্রী ছিলেন। ছেলে মারা যাওয়ার পর নিজে দায়িত্ব নিয়ে অন্য এক পাত্রের সঙ্গে পূজার বিয়ে দিয়েছিলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত শ্বশুর-থাকা কৈলাশ। কিন্তু সেই শ্বশুরবাড়ি পছন্দ না-হওয়ায়, কিছুদিনের মধ্যেই প্রয়াত প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন পূজা।
যদিও এরকম একটা পরিস্থিতিতে সামনে পড়ে থাকা দীর্ঘ জীবন পূজা কীভাবে কাটাবেন, তা ভেবে বেশ দুশ্চিন্তাতেই ছিলেন, বৃদ্ধ কৈলাশ। আর তেমনই একটা সময়ে, একদিন মনের কথাটা বলতেই এককথায় রাজি হয়ে গেলেন পূজা। আর এরপর যা হওয়ার তাই হল। এমন স্নেহশীল আর নির্ভরযোগ্য শ্বশুরের হাতে স্ত্রী হিসেবে নিজেকে সঁপে দিয়ে যেন নিশ্চিন্ত হলেন, ২৮ বছরের যুবতী বিধবা। আর এই বিয়ে নিয়ে গ্রামের কারও ভুঁরু কুঁচকে যেতে দেখা যায়নি বলেও জানা গেছে। তাহলে আমার আপনারই বা বলার কী থাকতে পারি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর