সাহায্য

ব্যুরো নিউজ, ২০ ডিসেম্বর: ১২০ বছর পেড়িয়ে গেলেও মেলেনি সরকারি সাহায্য | ক্ষুব্ধ পরিচালন সমিতি

বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলে নির্মিত হয় এক্তেশ্বর গোশালা। মূলতঃ দানকরা গরু, গো পালনে অক্ষম গৃহস্থ বাড়ির গরু, বেওয়ারিশ গরুদের আস্তানা এই গোশালা। মানুষের বৃদ্ধাশ্রম বলতে যা বোঝায়, গরুদের জন্য এটাও ঠিক তাই।

এও কি সম্ভব? রকেট উড়বে গোবরের জ্বালানি দিয়ে! 

সাধারণ মানুষের অনুদানেই চলে এই গোশালা। প্রাচীন ভারতে গো সম্পদকে বিশেষ সম্পদ হিসাবে মান্যতা দেওয়া হতো। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাতেও নিরীহ এই পশু জাতির গুরুত্ব অপরিসীম। বাস্তুতন্ত্রে ও কৃষিকাজেও গো-জাতির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুর দায়িত্ব পালন করে আসলেও সরকারের তরফে কোনো সহায্য ও সহযোগিতা মেলেনি বলেই অভিযোগ। ফলে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ পরিচালন সমিতির সদস্য থেকে সাধারণ মানুষ।

রাজ্য-কেন্দ্রের কোনও সাহায্য না মেলায় এই গোশালা চালাতে বিপুল অর্থের ভরসা এক মাত্র মারোয়াড়ি, গুজরাটি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। এছাড়াও  স্থানীয় কিছু মানুষের সাহায্যেই চলে এই গো পালনের কাজ।

বর্তমানে গোশালায় ২৮৯টি গরু রয়েছে। যার দৈনিক ব্যয় প্রায় আঠারো হাজার টাকা। দুধ ও গোবর বিক্রি করে দৈনিক ব্যায় কিছুটা মেটানোর পর দৈনিক প্রায় দশ হাজার টাকা ঘাটতি হয়। সে ঘাটতি পূরণ হয় অনুদানের টাকায়। গরু পরিচর্যা-সহ নানান কাজের জন্য কিছু কর্মী রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন পশু চিকিৎসক। গোশালা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে বাঁকুড়া শ্রী এক্তেশ্বর গোশালা সোসাইটি।

পরিচালন সমিতির এক সদস্য ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কোনো সরকারেরই এ বিষয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এমনকি স্হানীয় ব্লক অফিসে গিয়ে গরুর প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য আবেদন করলেও কোনও লাভ হয় না। কোনও প্রকার সরকারি সাহায্য ছাড়াই যখন এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান একশো কুড়ি বছর পেরিয়ে গেলো আশা করছি এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলবে। এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর