ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১লা এপ্রিলঃ হাতিকে জঙ্গলে ছাড়তে গিয়ে রীতিমতো তাড়া খেয়ে পালাতে বাধ্য হলেন বনদফতরের কর্মীরা। কোনো হাতি কিন্তু তাদের তাড়া করেনি, তাড়া করে তাদের এলাকা ছাড়া করেন জঙ্গলমহলের বাসিন্দারাই।

ঘটনা হল, মেদিনীপুর থেকে একটি অসুস্থ হাতিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তাকে বেলপাহাড়ির ডাঙিকুসুমের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বনদফতর (Forest Department)। রুখে দাঁড়ালেন গ্রামবাসীরা। প্রথমে অনুরোধ করেছিলেন হাতিটিকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বনকর্মীরা সে কথায় কর্ণপাত করেননি। এরপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা লাঠি-সোঁটা নিয়ে বনদফতরের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

তাদের বক্তব্য,  জঙ্গলে তাদের রোজই যেতে হয়। জঙ্গল থেকে কাঠ, শালপাতা ইত্যাদি এনে বিক্রি করেই তাদের জীবিকা চলে।  মাঝেমধ্যেই হাতির হানায় প্রাণ গেছে অনেকের। তাই নতুন কোন হাতিকে জঙ্গলে ছাড়া যাবে না, এটাই ছিল তাদের দাবি।

গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, গত অল্প কিছুদিন আগেই জঙ্গলে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। সেই হাতিটিকে বনদফতর বর্ধমান থেকে ধরে এনে বেলপাহাড়ির জঙ্গলে ছেড়ে  দিয়েছিল। যাই হোক, বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় প্রশাসনকে। মেদিনীপুর থেকে ধরে আনা হাতিটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় এবং তার ঠাঁই হয় জুলজিক্যাল পার্কে  কুড়মি জাতিকে তপশিলি উপ-জাতিভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি সহ বিভিন্ন দাবীতে কুড়মিদের পথ অবরোধ(Belpahari zoological park)। কিন্তু হাতিটি ততক্ষণে কাহিল। কারণ সেটি অসুস্থ ছিল। জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসক হাতিটিকে বেশ খানিকক্ষণ শুশ্রূষা করার পর আবার সেটি উঠে দাঁড়ায়।

আসলে ওই অসুস্থ হাতিকে এনে কোন চিকিৎসা ছাড়াই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বনদফতর। আহত হাতি জঙ্গলে থাকলে ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও সেরকম হলে সত্যিই বিপদে পড়তেন গ্রামবাসীরা। বনদফতরের এই অমানবিক, উদাসীন হাবভাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সেখানকার মানুষজন। বনকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।(EVM News)https://newsevm.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81-%e0%a7%a8-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8/

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর