নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটাল: ছ’ বছর আগে মাত্র দুজন অতিথি শিক্ষক সহ স্কুল শুরুর অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য সরকার।‌ কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই অতিথি শিক্ষকদের স্নেহ আর দক্ষতায়, স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ২০০ পার হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু দুজন শিক্ষকের পক্ষে এত ছাত্র পড়ানো সম্ভব হত না। জেলা শিক্ষাদফতরের তরফেও কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। স্বাভাবিক নিয়মেই তাই একসময় স্কুলটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় পঞ্চাশে। ওদিকে বয়সের কারণে এক অতিথি শিক্ষক আপনার নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতেও স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করতে অনুমতি চেয়েছিলেন, বর্ষীয়ান শিক্ষক মনোজকুমার ভূঁইয়া। কিন্তু স্কুলটির পরিচালন সমিতির যথারীতি চুপ করেই রইল। ফলে যা হওয়ার ছিল সেটাই হল। বছরকার সরস্বতী পুজো না হওয়ায়, বিদ্যার দেবীকে অঞ্জলি দিতে পারল না পড়ুয়ারা। স্বাভাবিকভাবেই আশপাশের স্কুলগুলিতে পুজোর দিন অঞ্জলি দিতে যাওয়া অন্য বাচ্চাদের দেখে মুখ ভার হয়ে গেল, পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটালের বরকতিপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের।
বিষয়টি যে তাদের পক্ষে বড়ই অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে, সেটা আন্দাজ করে সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরার সামনে কার্যতর মুখে কুলুপ আঁটলেন, স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্যরা। আর তারপরেই স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে একের পর এক অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা আর অভিভাবকরা।
অন্যদিকে ঘটনার কথা জেনে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, না হয় তাঁরা মর্মাহত। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে প্রচারের পারদকে কার্যত আকাশে তুলেছেন, সরকার তথা শাসকদলের নেতৃত্ব। কিন্তু গগন চুম্বি সেই প্রচারের উল্টোদিকে থাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বরকতীপুর জুনিয়র হাই স্কুলের এই ঘটনা সেই প্রচারের দুধে যে বেশ কয়েকফোঁটা চোনা ফেলল, মনে করছেন জেলার শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর