ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ যাঁদের চোখে ভর করে আপনি চোখ বুজে বাসে -ট্যাক্সিতে, অটো রিক্সায় বা অ্যাপ ক্যাবে চড়ে নিশ্চিন্তে গন্তব্যে পৌঁছে যান তাঁদের চোখের অবস্থা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে- উঠবেই উঠবে। চোখের চেহারার এহেন খারাপ অবস্থার সন্ধান পেয়েছে খোদ কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ ।এই সমস্ত চালকদের চোখে চোখে রাখতে বিশেষ পরিকল্পনার কথা চিন্তা করছে কলকাতার নজরদার বাহিনী।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে মহানগরীর দুই প্রান্তে গত সোমবার থেকে তিন দিন ব্যাপী যাত্রীবাহী গাড়িচালকদের জন্য যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির শুরু করা হয়েছিল ,বুধবার ছিল তাঁর শেষ দিন । শিবিরে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল শহরের নামজাদা চক্ষু বিশেষজ্ঞদের। আর তাঁদের করা পরীক্ষা থেকে যে রিপোর্ট কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হাতে উঠে এসেছে ,তাঁতেই নিত্য যাত্রীদের চোখ কপালে উঠেছে।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে , প্রতি ১০ জন ক্যাব, অটো এবং বাস চালকের মধ্যে ৩ জনের অর্থাৎ মোট পরীক্ষার ৩০ শতাংশের বৃহৎ চক্ষু সমস্যা রয়েছে। যেটা সম্বন্ধে চালকেরা একেবারেই অবগত ছিলেননা।
হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের এক অফিসারের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত সোমবার এবং মঙ্গলবার ব্রাবোর্ন রোড উড়ানপুলের নীচে প্রায় ২০০ জন চালকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত চক্ষু বিশারদদের দল। এঁদের মধ্যে, ৬৩ জন চালকেরই গুরুতর চোখের সমস্যা রয়েছে বলে জানা যায়। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৫% চালকের উচ্চ রক্তচাপজনীত সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি ১০% চালকের মধুমেহ রোগের সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসার পর এই ৬৩ জন চালককেই প্রেসক্রিপশন ইস্যু করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষধও প্রদান করা হয়।
আরেকদিকে চিংড়িঘাটায় আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে যে ৬৩ জন চালকের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে উঠে আসে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। এঁদের মধ্যে ১০ জন চালকের ছানি সার্জারির প্রয়োজন রয়েছে।
এমন তথ্য অনুসন্ধানের পর একদিকে যেমন সাধারন মানুষের চক্ষুশূল হয়েছে তেমনই তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন , যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কেন এতদিন প্রশাসন এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। নিয়মিত ভাবে চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনে তাঁদের লাইসেন্সও যাতে বাতিল করা হয় ,প্রশাসনের কাছে সেটাই নিত্য যাত্রীদের আবেদন।