ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১১ ফ্রেব্রুয়ারিঃ ডিম চুরি করেই হবে বংশবৃদ্ধি! কোন কালাজাদু বা কুসংস্কার নয়। শকুনের ডিম চুরি করেই বংশবৃদ্ধি করেবেন প্রানীবিদরা। এমনটাই হতে চলেছে রাজ্যের এক মাত্র শকুন প্রজনন কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার জেলার রাজাভাতখাওয়াতে । আর সেখানেই চালু হবে ‘ডবল ক্লাচিং সিস্টেম’।
বর্তমানে শকুন প্রায় লুপ্তপ্রায় প্রাণী। শকুনদের জীবনশৈলী অনুসারে প্রতিটি মাদি শকুন বছরে মাত্র একটিই ডিম পারে। ফলে শকুনদের বংশবৃদ্ধির হার খুবই কম। কিন্ত গবেষণা করে দেখা গিয়েছে ,কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে ডিম পাড়া শকুনদের ডিম সরিয়ে নিলেই, ওই মাদি শকুন দ্বিতীয়বার আবার ডিম পাড়তে পারবে । এক্ষেত্রে সরিয়ে নেওয়া ডিমটিকে ‘ডবল ক্লাচিং সিস্টেম’ প্রয়োগ করে ‘ইনকিউবেটরে’ সংরক্ষণ করে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বের করা হয়। ফলে একটি মাদি শকুন বছরে দুটি বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। এই অত্যাধুনিক প্রজনন পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদফতর। এইপ্রসঙ্গে রাজাভাত খাওয়া প্রজনন কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ সৌম্য চক্রবর্তী বলেন, অত্যাধুনিক প্রজনন পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে শকুনদের বংশবৃদ্ধির গতি সঞ্চারিত হবে। ফলে আমরা সকলেই আশাবাদী যে দ্রুত ওই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি রাজাভাতখাওয়ায় চালু করা সম্ভব হবে। ‘
শুক্রবার এই প্রজনন কেন্দ্র থেকে মোট ১৩টি হোয়াইট ব্যাক্ড শকুন প্রকৃতিতে বের করার পর বন দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বনকর্তারা। এই নিয়ে মোট তিন ধাপে দেশের মধ্যে মোট ৩১টি হেয়াইট ব্যাক্ড প্রজাতির শকুনকে প্রকৃতিতে ছাড়া হলো। পৃথিবী থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা স্লেন্ডার বিল্ড, লং বিল্ড প্রজাতির শকুনও রয়েছে এই আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ার কৃত্রিম অ্যাভিয়ারিতে । এছাড়াও আমেরিকা থেকে ‘প্ল্যাটফর্ম ট্রান্সমিটার টারমিনাল’ প্রজাতির শকুনও আমদানি করা হয়েছে । অন্যদিকে দেশের অন্যতম শকুন সংরক্ষন সংস্থা বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির সচিন রানাডে বলেন, বর্তমানে শকুন একটি লুপ্তপ্রায় প্রাণীর মধ্যে একটি। ফলে এই অত্যাধুনিক প্রজনন পদ্ধতির শকুনকে আবার ফেরানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।