ব্যুরো নিউজ, ১৫ জানুয়ারি: রবীন্দ্রনাথের কোপাই দখলের পথে, শুরু লড়াই
বীরভূমের শান্তি নিকেতনে থাকাকালীন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই জেতেন খোয়াই আর কোপাইয়ের কাছে। তাঁর লেখায় বারেবারে উঠে এসেছে তাদের নাম। সেই কোপাই দখল করে উঠছে কংক্রিটের পিলার। আর এভাবেই আইন ভেঙে প্রথা ও আবেগকে পাত্তা না দিয়ে একদল দুষ্কৃতি ও প্রোমোটার নেমে পড়েছে কোপাই দখলের লক্ষে। আর তাতেই মন ভারাক্রান্ত নদী বিশেষজ্ঞ মলয় মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছেন, খুব আক্ষেপ হচ্ছে, কোপাই নদী দখল হয়ে যাচ্ছে দেখে। নদীবক্ষে শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ। এখনই এর প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। তাই প্রতিবাদও শুরু হয়েছে।
রাজ্যের নদী বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও কর্মীরা কোপাই নদীর তীরে ওই নির্মাণকার্যের পাশেই অবস্থানবিক্ষভে শামিল হয়েছেন। শান্তি নিকেতনের খোয়াই সাহিত্য সংস্কৃতির পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে ব্যানার সহ প্রতিবাদ। ‘কোপাই বাঁচাও’ শ্লোগান দিয়ে শুরু হয়েছে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ। কিন্তু এতত সত্ত্বেও প্রশাসন উদাসীন। পঞ্চায়েত ও বোলপুর পুরসভা একে অন্যের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মলয়বাবু নিজেও অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন।
অভিযোগ পেয়ে তা বন্ধের দাবি তুলছেন তাঁরা। শান্তিনিকেতনের আবেগ কোপাই বাঁচাতে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনকে চিঠি লেখেন। বোলপুর পুরসভার জনৈক সহকারি ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, কোপাই তাঁদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়, সেটি পঞ্চায়েতের অধীন। তাঁরা বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি দিয়েছেন। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট রংপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এলিনা খাতুন বলেন, কোপাই তাঁদের এলাকভুক্ত নয়। ১ বছর আগেই বোলপুর পুর সভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধিনে চলে গিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই। ইভিএম নিউজ