ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৮ মার্চঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। দোলের রাতে ভাঙড়ের এক তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল ৬ রাউন্ড গুলি। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আহত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে স্থানীয় জিরানগাছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।
শাসকদলের স্থানীয় এই নেতা প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ব্যবসায়িক রেষারেষির জেরেই এই হামলা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের কেএলসি থানার কাঁঠালবেড়িয়া এলাকায় মঙ্গলবার ৬ রাউন্ড গুলি চলে।আর তাতেই গুরুতর আহত হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনসার মোল্লা।
বেঁওতা গাজি পাড়ার বাসিন্দা আনসার এলাকায় রঙের কাজের পাশাপাশি প্রোমোটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার আনসার যখন কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় তার সঙ্গে তার বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত নুর মহম্মদ মোল্লা এবং তুষার মোল্লার বাদানুবাদ হয়। আর তারপর নুর-ই আনসারকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালান বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পরেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তাদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদেরও অনুমান, এলাকার দুই প্রোমোটারের মধ্যে বচসার জেরেই গুলি চলেছে।আহত আনসার মোল্লার ছেলের কথায়, তাঁর বাবার জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা শুনেছিল সে। সেই কারণেই গুলি চালানো হল কি না, তা বুঝতে পারছেন না তারা। আনসার এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। এলাকার আর এক বাসিন্দা জানান, এদিন গোরস্থানের কাছে বসে বেশ কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই আর্তনাদ কানে এসে পৌঁছয়। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই আক্রমন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।