ব্যুরো নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর: বিদেশী মদতে জ্বলছে মণিপুরগত ৫ মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। জাতি সংঘর্ষে গৃহহীন অসংখ্য মানুষ। মৃত্যুমিছিল, গণধর্ষণ, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা চলছেই। এই পরিস্থিতিতে নিন্দার ঝড় আন্তর্জাতিক মহলেও। বিদেশের মাটিতে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আমেরিকা সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে মণিপুরের অশান্তি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন জয়শঙ্কর। তবে বিদেশমন্ত্রী জানান, "মণিপুরের এই অশান্ত পরিবেশ বাইরে থেকে আসা মানুষদের জন্য তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে"। কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে কানাডার ভারত বিদ্বেষ? জাতি সংঘর্ষের জেরে গত ৫ মাস ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ, ভাঙচুর। জুলাই মাস থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে মণিপুর। তবে দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ফের মণিপুরে অশান্তি ছড়িয়েছে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আশ্বাস দিয়ে, অপরাধীদের কড়া শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পাশাপাশি অশান্ত মণিপুরকে সেনার হাতে তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। আগামী ছ’মাস কার্যত গোটা রাজ্যকে 'ডিস্টার্ব এরিয়া' তথা 'উপদ্রুত এলাকা' ঘোষণা করল কেন্দ্র। রাজধানী ইম্ফল-সহ উপত্যকা এলাকার ১৯টি থানাকে বাদ রেখে বাকি রাজ্যকে উপদ্রুত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত। এমনটাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর।তবে এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, "গোটা মণিপুর ‘ডিসটার্বড এরিয়া’, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ‘আনডিসটার্বড’।" অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের অভিযোগ, "বিজেপির জন্যই মণিপুর‘ব্যাটলফিল্ড’ অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েথা ১৪৭ দিন হয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে যাওয়ার সময় পাননি"। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করার দাবিও তুলেছেন তিনি। ইভিএম নিউজ