ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১ লা মার্চঃ দেখতে ছোট বিন্দুর মতো হলেও ,বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্থ রকমের কাজের সঙ্গে যোগসূত্র এক পলায়নপর কৃষ্ণগহ্বর। ফলে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন গবেষকমহল। তাঁদের মতে, মহাশূন্যের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে এই কৃষ্ণগহ্বর। আর যেটির তথ্য উঠে এল কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষণায়। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পরই কৃষ্ণগহ্বরটির গতিবিধি তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা।

জানা গিয়েছে, পৃথিবী থেকে কৃষ্ণগহ্বরটির দূরত্ব প্রায় ৭৫০ কোটি আলোকবর্ষ । যেটির ওজন সূর্যের থেকে প্রায় ২ কোটি গুন বেশি । এবং আকাশগঙ্গা ছায়াপথের চেয়ে প্রস্থে প্রায় দ্বিগুণ। নিজস্ব ছায়াপথ থেকে ছিটকে ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ লক্ষ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে ওই কৃষ্ণগহ্বরটি। শব্দের চেয়ে তার গতি প্রায় ৪ হাজার ৫০০ গুণ বেশি। জানা গিয়েছে , হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে ওই কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। ক্ষুদ্র একটি ছায়াপথে RCP২৮-কে পর্যবেক্ষণ করার সময় একটি উজ্জ্বল একটি তারার চোখে পড়ে বিজ্ঞানীদের। গ্যাসের সংকোচন থেকে ওই আলোর ধারার সৃষ্টি হয়েছে বলে তার থেকে নতুন নক্ষত্র জন্ম নিচ্ছে বলেও দাবি করছে বিজ্ঞানীমহল।

বিজ্ঞানীদের মতে, তিনটি একই বস্তুর মধ্যে মহাজাগতিক মিথস্ক্রিয়া ঘটলে, তা স্থিতিশীল রূপরেখার দিকে না এগিয়ে, দ্বৈত আকারে বেরিয়ে আসে অথবা তৃতীয় অংশটি ছিটকে বেরিয়ে যায় নিজের কক্ষপথ থেকে।

এই প্রসঙ্গে, ইয়েল ইউনিভার্সিটির পদার্থ এবং জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পিটার ভ্যান ডোক্কাম জানিয়েছেন, টেলিস্কোপে সরু একটি উজ্জ্বল রেখা ধরা পড়ে। পরে হাওয়াইয়ের কেক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা যায়, ওই রেখা এবং একটি ছায়াপথ সংযুক্ত। বোঝা গিয়েছে,ওই বৃহদাকার কৃষ্ণগহ্বরটি ছায়াপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে এবং গ্যাসের সংকোচন থকে ওই আলোর রেখার তৈরি। ওই বিশালাকার কৃষ্ণগহ্বরটি একসময় দুটি কৃষ্ণগহ্বরের অংশ ছিল। কিন্তু ছায়াপথে মিশে যাওয়ার সময় তৃতীয় একটি কৃষ্ণগহ্বরের আবির্ভাব ঘটে। তাতেই একটি ছিটকে বেরিয়ে যায়। এমন পলায়নপর কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশে স্বাভাবিক ঘটনা কিনা, তা নিয়ে এখনও চিন্তিত গোটা বিজ্ঞানীমহল।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর