ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল , সেখানে পরীক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা বা অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি । গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে । আদালতে জমা দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হলফনামা থেকে সেটা স্পষ্ট । আর এই ইস্যুতে, যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন , তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি আভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।হাওড়া ,হুগলী, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদ, এই পাঁচ জেলার বেশ কয়েকজন পরীক্ষককে আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি তলব করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। আদালত জানিয়েছে, রুদ্ধদ্বার এজলাসে নির্দিষ্ট আইনজীবীদের সামনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । এমনকি , পর্ষদের উদ্দেশে আদালতের নির্দেশ , উক্ত পরীক্ষকদের যাতায়াতের খরচ বাবদ অর্থ বহন করতে হবে পর্ষদকেই।
টেট দুর্নীতিকাণ্ডে পরীক্ষার্থীদের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী তাঁদের কোন অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি । শ্রেণীকক্ষে হবু শিক্ষকরা কি বিষয় পড়াবেন ,কোন পদ্ধতিতে পড়াবেন ,তার একটা নমুনা ইন্টারভিউয়ের সময় চক-ডাস্টার নিয়ে ব্ল্যাক বোর্ডে তা দেখাতে হয়। কিন্তু পরীক্ষকরা সেই নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেননি বরং প্রার্থীদের অভিযোগ তাঁরা বারান্দায় ইন্টারভিউ দিয়েছেন । কেন এই অনিয়ম ,তা জানতেই এবার পরীক্ষকদের তলব আদালতের।
