ইভিএম নিউজ ব্যুরো,অরূপ পালঃ শুক্রবার ইডেনে ঝাড়খণ্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে শেষচারে জায়গা করে নিল মনোজ তিওয়ারিরা। ৬৭ রান করলে জয় আসবে,এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলা একমাত্র কাজী জুনেইদ সইফির উইকেট হারিয়ে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। অভিমন্যু ঈশ্বরন ২৮ এবং সুদীপ ঘরামি ২৬ রানে অপরাজিত থাকলেন। আজ সকালে খেলার শুরুতেই প্রথম দেড়ঘণ্টায় ঝাড়খণ্ডের বাকি তিন উইকেট তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথ আরও সহজ করে নেয় বাংলা। গতকালের সাত উইকেটে ১৬২ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বিরাট সিংয়ের ঝাড়খণ্ড আজকে অল আউট ২২১ রানে। সুপ্রিয় চক্রবর্তীর অপরাজিত ৮৩ বলে ৪১ রানই ঝাড়খণ্ডের লড়াইয়ের নির্যাস। বাংলার বোলারদের মধ্যে আকাশ ঘটক তিন উইকেট নিয়ে সেরা। আকাশদীপ,শাহবাজ আহমেদ দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েলের। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন বাংলার আকাশদীপ।
জয়ের রান শেষ হতেই বাংলার সাজঘরে সেমিফাইনালের নিয়ে পরিকলপনা শুরু হয়ে গেছে। ৩২ বছর পরে পরপর তিন বছর রঞ্জি ট্রফির শেষ চারে বাংলা। গতবছর মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। এবছরও সাম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রদেশ বা অন্ধ্রপ্রদেশ। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলছেন তারা দলের কোন জায়গাগুলোতে উন্নতি প্রয়োজন তা নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করে দিয়েছেন। একবছর আগে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। সেই ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ফাইনালের পথ পরিস্কার করতে চান তিনি। আপাতত দলের প্রতিটি ক্রিকেটার যেইভাবে পারফরম্যান্স করেছে তাতে তিনি আশাবাদী । অধিনায়কের সুর কোচের গলাতেও। তিনিও বর্তমানে দাঁড়িয়ে শেষ চারের লড়াইয়ের নীলছক সাজাতে চাইছেন।
প্রতিষ্ঠা দিবসে জয়ের আনন্দে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশীষ গাঙ্গুলী এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা বাংলা দলকে অভিনন্দন জানান। সিএবি প্রেসিডেন্ট বৈঠক করেন অধিনায়ক এবং কোচের সঙ্গে। স্নেহাশীষ গাঙ্গুলী বলেন, “মেসির আর্জেন্টিনা ছত্রিশ বছর পরে বিশ্বকাপ জিতেছে। এইবছর আমাদের সুযোগ। আশা করছি চ্যাম্পিয়ন আমরা হবো। তবে এখন সেমিফাইনালের ভাবনা। তারপরেই শেষধাপের কথা।”