ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২১ মার্চঃ হুমকি চিঠির পর এবার হুমকি ই-মেইল। ফের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি বলিউড সুপারস্টার সলমন খানকে। জানা গিয়েছে, সলমন ঘনিষ্ঠ আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্ণধার প্রশান্ত গুঞ্জালকর শনিবার ভাইজানের অফিসে গেলে একটি হুমকি ই-মেইল তাঁর নজরে আসে। আর সেই ই-মেইলে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সলমনকে প্রশ্ন করেছেন যে সলমন গ্যাংস্টার বিষ্ণোই লরেন্সের সাক্ষাৎকারটা দেখেছেন কিনা। এই সাক্ষাৎকারে লরেন্স বলেছিলেন,কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সলমনকে ক্ষমা চেয়ে ‘ম্যাটার ক্লোজ’ করতে। অন্যথায় এর ফল ভোগ করেতে হবে”। ই-মেইলে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘এখনও সময় আছে, পরের বার ঝটকা লাগবে।’
প্রসঙ্গত, সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে কঙ্কণী গ্রামে বিরল প্রজাতির দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল সলমন খানের বিরুদ্ধে। ১৯৯৯ সালে এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করেছিল স্থানীয় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কিছু ব্যাক্তিগণ।
২০১৮ সালে এই মামলায় সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি ৫ বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে রাজস্থানের যোধপুর আদালত। এমনকি এই রায়ের পর যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে দু’রাত বন্দী থাকতে হয়েছিল এই সুপারস্টারকে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই মামলার অন্যান্য অভিযুক্ত সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নিলম কোঠারিদের বেকসুর খালাস করে আদালত।
বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই কৃষ্ণসার হরিণ। আর এই কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা হল বিষ্ণোই সম্প্রদায়। লরেন্স এই সম্প্রদায়েরই অংশ। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার হত্যার মামলায় এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন লরেন্স। আর গোল্ডি তারই ডান হাত। এই হুমকি ই-মেইল আসার পরেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি, ৫০৬-II ও ৩৪ ধারায় মামালা রুজু করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টাই ভাইজানের নিরাপত্তায় থাকবেন দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর এবং ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সলমনের নিজস্ব বাসভবন বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে তাঁর ভক্তদের জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।