ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ ধান আর সবজির চাষে তেমন লাভ হচ্ছিল না। তাই কপাল ঠুকে এবার গাঁদাফুলের চাষ শুরু করেছিলেন, পুরনো মালদহের শিবগঞ্জের বাসিন্দা, পেশায় কৃষিজীবী দেবব্রত সরকার। আর প্রায় লটারি পাওয়ার মতোই সেই গাঁদাফুল থেকে লাভের লক্ষ্মী ঘরে তুলেছেন দেবব্রত। ছপ্পর ফুঁড়ে দেবব্রতর ঘরে এমন লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পড়ার ঘটনায়, তার তার পড়শি কৃষকরাও রীতিমতো আশ্চর্য।
আর সহ কৃষকদের সেই বিস্ময়ের নিরসন ঘটাতে, এবার তাঁদেরকেও ভালো মানের গাঁদা ফুলের চাষ করতে উৎসাহ দিতে শুরু করেছেন, দেবব্রত সরকার।
যদিও এমন অযাচিত লক্ষ্মীলাভ খুব একটা সহজে হয়নি। দেবব্রতর কথায়,  মালদহ জেলায় ভালো মানের গাঁদাফুলের চারা পাওয়া বেশ কঠিন। তাঁর আরও দাবি,  আরও জানিয়েছেন, শীতের ঠিক শুরুতেই অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকেই তিনি চারাগাছ লাগাতে শুরু করেছিলেন। আর ঠিক দু’মাস পর থেকেই ফুল ফুটতে শুরু করে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত এই ফুল ফোটে। অবশ্য এর জন্য কোনও রাসায়ানিক সর তিনি ব্যবহার করেননি। শুধু নিয়মিত গাছের যত্ন এবং সঠিক পরিমাণে জল দিয়ে গিয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই দেবব্রতবাবুর পরামর্শে এলাকার অনেক কৃষকই এখন এই ফুলের চাষ করছেন। আর তার জেরে পুরাতন মালদহের শিবগঞ্জে এখন বিঘার পর বিঘা জমিতে গাঁদাফুলের চাষ হচ্ছে। মালদহের পাইকারি ফুলের বাজারে সেই গাঁদাফুল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে প্রতি বিঘা জমিতে গাঁদাফুলের চাষ করতে মাত্র ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। চলতি শীতের মযসুমে আগের ফসলের লাভের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে দিয়েছে, হলুদ আর কমলা গাঁদা। কতটা? দেবব্রতবাবুর নিজের কথায়,  চার মাস ফুল বিক্রি করে তিনি লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করেছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর