ব্যুরো নিউজ: প্রাকৃতিক নিয়মেই চুন প্রস্তুত করছেন তামলিরা। বংশপরম্পরায় আজও প্রাকৃতিক নিয়মেই চুন প্রস্তুত করছেন তামলিরা। দীর্ঘ ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বংশপরম্পরায় প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রস্তুত করা হচ্ছে চুন। ঝিনুক থেকে চুন প্রস্তুত করছেন তামলি সম্প্রদায়ের ৫টি পরিবারের সদস্যরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের ১নং ওয়ার্ডের কাদিঘাট এলাকায় দীর্ঘ ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে চুন প্রস্তুত করার কাজ। চুন তৈরি করেই চলে তামলি সম্প্রদায়ের এই পরিবারগুলির রুজি-রুটি। গ্রাম থেকে ২০০ টাকা করে ঝিনুক কিনে বাড়িতে নিয়ে এসে চুন প্রস্তুত করে ৩ টাকা প্যাকেট হিসেবে বিক্রি করা হয়।
এই বিষয়ে চুন প্রস্তুতকারী বিজয় তামলি ও বিমল তামলি জানান, নানান গ্রাম থেকে নদীর ঝিনুক কিনে নিয়ে সংগ্রহ করেন ও সেগুলি গাড়ি করে নিয়ে এসে সেখান থেকে চুন তৈরি করেন। এই চুন তৈরি করার কাজটি বেশ খাটুনির।
২৪ ঘন্টা ধরে বড় বড় উনুনে ঝিনুক পোড়ানো হয়। এরপর চুন তৈরি করার শেষে তাকে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে আবার তাকে জল দিয়ে রেখে তিন ঘন্টা ঘোলাতে হয়। তারপর কাপড়ে ছেঁকে রাখার পর সেটি যখন আস্তে আস্তে জমতে শুরু করে তখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপরই সেটিকে প্যাকেট করে গ্রামে-গঞ্জে হাটে-বাজারে বিক্রি করেন তারা।
এই চুন শুধুমাত্র পানে খাওয়ার জন্য বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমানে পাথরের চুন বাজারে ঢুকে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা মার খেয়েছে বলে জানান তারা। পাশাপাশি লাভের মুখ তারা খুব কমই দেখেছে বলেও জানান। সরকারি সহযোগিতা থাকার ফলে তাদের লক্ষ্মীর ভাঁড় পূর্ণ হচ্ছে। তাই বাপ-ঠাকুরদার হাত ধরে বংশ পরম্পরায় চলে আসা তামলি সম্প্রদায়ের চুনপ্রস্তুত ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে আজও বেগ পেতে হচ্ছে পরিবারগুলির। ইভিএম নিউজ