ইভিএম নিউজ, ভোপালঃ সম্মান আর প্রাণ বাঁচাতে মহিলাদের উত্তেজক পোশাক পরা উচিত নয়। চলাফেরাতেও সনাতনী ভারতীয় নারীর ঐতিহ্যবাহী আদবকায়দা অনুসরণ করা প্রয়োজন। পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থার ধ্বজা উড়িয়ে এর আগে সংঘ পরিবারের বহু নেতাকেই এমন পরামর্শ দিতে শোনা দিয়েছে। তবে তিনি, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শঙ্খ পরিবারের অগ্নিকন্যা বলে খ্যাত উমা ভারতী, চিরকালই সেই একমাত্রিক আদর্শের প্রতিবাদী। তিনি মনে করেন ভারতীয় নারীর আচার আচরণ আর জীবনযাত্রায় যেমন সনাতনী ভাবধারা থাকা উচিত, তেমনি নারীকে সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদেরও— উগ্রতা আনতে পারে, এমন বিষয় থেকে দূরে থাকা উচিত। রাজ্যে বাড়তে থাকা নারী-নিগ্রহের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে, এবার নিজের সেই সমাজদর্শনকেই নতুন দাওয়াইয়ের মোড়কে লাগু করার নিদান দিলেন, মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী। রাজ্যের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে উমার পরামর্শ সমস্ত মদের দোকান বন্ধ করে সেখানে গোয়াল ঘর তৈরি করা হোক। তাহলে এই মধ্যপ্রদেশের মহিলারা পুরুষদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
কিন্তু কেন এই স্বঘোষিত নিদান? উমার সাফ যুক্তি “মদ খেলেই পুরুষমানুষের মধ্যে একটা ব্যতিক্রমী পাশবিক প্রবৃত্তি জেগে ওঠে। আর তখনই তাঁরা মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেন”।
এখানেই শেষ নয়। নিজের এই সামাজিক ব্যভিচার-বিরোধী দাওয়াই প্রয়োগ করতে, শুধুমাত্র সরকারকে পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত থাকতে চান না উমা। বরং নিজের উদ্যোগে রাজ্যের একটি বেআইনি মদের দোকান বন্ধ করে, সেই জমিতে একটি গোশালা তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছেন, বিজেপির এই অগ্নিকন্যা। আর সেই কাজে কোন বাধা যাতে আসতে না পারে, তার জন্য শুরুতেই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ দিয়ে সুরে উমার হুঁশিয়ারি, “দেখি, এই কাজে আমাকে কে আটকায়!”
