ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ সোনারকেল্লা-র ভূপর্যটক মন্দার বোস আফ্রিকায় নাকি নেকড়ে মেরে ছিলেন। তার এই গুল হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে ‘জটায়ু ‘। মন্দার বসুও দমবার পাত্র ছিলেননা। লালমোহন বাবু যখন তাঁকে বলেছিলেন ‘তা নেকড়ে মনে করে হায়না মারেননি তো ?’ উত্তরে মন্দার বোস বলেছিলেন,হায়না তো মশাই চায়নায়। তবে শেষ মেশ মন্দার বোস স্বীকার করেছিলেন আফ্রিকায় নেকড়ে নেই। আফ্রিকায় নেকড়ে না থাকলেও তা যে দুর্গাপুরের জঙ্গলে আছে তাই বা কে জানতো এই দুদিন আগেও?নেকড়ে তো দূরকি বাত। দুর্গাপুরের জঙ্গলে এই বার দেখা মিলল নীলগাইয়ের। মহারাষ্ট্র,উত্তরপ্রদেশ পেরিয়ে নীলগাইবাবাজি কি করে দুর্গাপুরের জঙ্গলে এসে পড়লেন তাই এখন চর্চার বিষয়। ২০১৭ সালে লালগড়ে দেখা মিলে ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের।ওড়িশার জঙ্গল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে এসে শেষমেশ গ্রামবাসীদের হাতে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। দুর্গাপুরের জঙ্গলের নীলগাইয়ের ভাগ্য অবশ্য এতটা খারাপ নয়।
দেখতে অনেকটা হরিণের মতো। তবে হরিণ নয় ! নেকড়ের পর এইবার দেখা গেল নীলগাইয়ের। দুর্গাপুরের কাঁটাবেড়িয়ার জঙ্গলে দেখা মিলল এই নীলগাইয়ে।সেটার হদিস পান বন দফতরের কর্মীরা।গড় জঙ্গলে দেখা মিলেছে ওই নীলগাইয়ের। এই প্রথম এই অঞ্চলে নীলগাইয়ের দেখা মেলায় উৎসাহিত হয়ে উঠেছে বন দফত। উৎসাহিত দুর্গাপুরবাসীরাও। বন দফতরের দাবী, জঙ্গল বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলেই বন্য প্রাণীদের আধিক্য বেড়েছে এই অঞ্চলে। বন দফতর সূত্রের খবর, আগেই দেখা মিলেছিল নেকড়ে ও হায়নার। এবার দেখা পাওয়া গেল নীলগাইয়েরও।
বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি যখন উখড়ার রেঞ্জার ছিলাম, তখন ওখানকার জঙ্গলে নীলগাইয়ের দেখা গিয়েছিল।
বন দফতর সূত্রের খবর ,নীলগাই সাধারণত ডেকটাইল প্রজাতির প্রাণী। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। চিড়িয়াখানা ছাড়া বাংলায় সাধারণত এই প্রাণীকে দেখতে পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু বুধবার হঠাৎই চাঞ্চল্যকর ছড়িয়ে পরে নীলগাইকে দেখতে পাওয়ায়।বনকর্মীরা রুটিন টহল দিতে বেরিয়ে দেখতে পান নীলগাইয়ের। সঙ্গে সঙ্গে ওপরমহলে খবর পাঠান ওই কর্মীরা। দুর্গাপুরের রেঞ্জার বলেন, হঠাৎ করে কথা থেকে এল এই প্রাণীটি! আরও কতগুলো নীলগাই এই এলাকায় রয়েছে, সেটিও বলা সম্ভব নয়।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,নীলগাইগুলি যাতে চোরাশিকারিদের হাতে না পড়ে, সেই দিকে বন দফতরের তরফে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর