রাহুল কর্মকার,বাঁকুড়া ২৮ ফেব্রুয়ারিঃ প্রথম থেকে চতুর্থ। স্কুলের চারটি শ্রেণীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে চারটি ঘর। অথচ ক্লাস হচ্ছে মাত্র দুটি ঘরে। আর সেই দুটি ঘরেই গাদাগাদি করে বসে লেখাপড়া করছে, কচিকাচা ছাত্রছাত্রীরা। তবে কি বাকি দুটি ঘরে কোনও সংস্কারের কাজ চলছে? মোটেই না। বরং সেই দুটি ঘরের একটিতে চলছে, স্থানীয় কৃষিজীবীদের সভা। আর আরেকটি ঘরে চলছে, সভায় উপস্থিত কৃষকদের জন্য ভুঁড়িভোজের আয়োজন। রাজ্যে শিক্ষায় অচলায়তনের এমনই নতুন ছবি ধরা পড়ল, বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভালুকা নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য জানিয়েছেন, স্কুলের ঘরে সভা করার জন্য, কৃষকদের তরফের তার কাছে কোনও লিখিত আবেদন জানানো হয়নি। তিনিও কোনও অনুমতি দেননি। মৌখিকভাবেই সবটা তাঁকে জানানো হয়েছিল। এই বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিদর্শককে জানিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সাবইন্সপেক্টর তাঁকে বলেছিলেন, স্কুলের পঠন-পাঠনে অসুবিধে না করে কোনও সভা অনুষ্ঠিত হলে, সেই সভার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। তাই তিনি অনুমতি দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন উঠেছে, স্কুলের দুটি ঘরে গাদাগাদি করে চারটি শ্রেণির পড়ুয়ারা বসলে কি, পঠনপাঠনের অসুবিধে হয় না? নাকি সেখানে সভা করার অন্য কোনও জায়গা ছিল না? যদিও এই সঙ্গত প্রশ্নের সদুত্তর, সংশ্লিষ্ট কারও কাছ থেকেই পাওয়া যায়নি।