ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৪ মার্চ: দুর্ঘটনার পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনো অধরা অভিযুক্ত গাড়ি চালক তথা তৃনমূল নেতা।পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নিহতের পরিবারের প্রশ্ন, তবে কি অভিযুক্ত গাড়িচালক তৃণমূল নেতা বলেই এখনো পুলিশের হাতে অধরা ? নাকি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ওই নেতাকে গ্রেফতার করছে না! হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় নিহতের পরিবার।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের বিষনপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম গত ৮ই মার্চ রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ তার শ্বশুর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রাম থেকে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।কুশিদাগামী রাজ্য সড়কে খোসালপুর ব্রিজের নিকটে একটি মারুতি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ওই বাইকটির পেছনে ধাক্কা মারে।বাইক চালক মিলন আক্তার ও বাইক আরোহী শাহ আলম প্রায় ১০ হাত দূরে ছিটকে পড়ে।স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত দুইজনকে চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।শাহ আলমের বেগতিক অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবুরা মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন।ঘন্টা তিনেক পরে শাহ আলম হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবারের অভিযোগ,অভিযুক্ত গাড়ি চালক বিক্রম রায় শাসক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে বলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ শুধু তাদেরকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিচ্ছেন । কাজের কাজ কিছুই করছেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ গাড়িচালক বিক্রম রায় সেদিন মদ্যপান করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেই এই দুর্ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক গাড়ি চালকের নাম বিক্রম রায়।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের গোহেলা গ্রামে। দুর্ঘটনার রাতেই ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গাড়ি চালক পলাতক রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত গজমের জানান,নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অভিযুক্ত গাড়ি চালককে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।এই কেসের ইনভেস্টিগেট অফিসার ছুটিতে রয়েছেন।তাই একটু দেরি হচ্ছে।অভিযুক্ত কোনমতেই ছাড় পাবেন না।