সুদীপ্ত দাস, ১০ এপ্রিল : তাঁদের মধ্যে একজন পুরোপুরি বরফের তলায় চাপা ছিলেন প্রায় আধঘণ্টা। দুর্ঘটনায় বাকি দু’জনের শরীরের অধিকাংশই বরফে ঢাকা পড়ে। তবুও বিস্ময়করভাবে তারা সকলেই বেঁচে ফিরলেন নিজের নিজের বাড়ি।
বারাসাত শহরের তিন যুবক সুমিত দাস, তথাগত রায়চৌধুরি ও অরিন্দম দাশগুপ্তরা চলতি মাসের ২ তারিখ গ্যাংটকে বেড়াতে যান। ৩ এপ্রিল রাতে তাঁরা গ্যাংটকের হোটেলে পৌঁছান। পরেরদিন দুপুরে গাড়ি ভাড়া করে তিনজনে সিকিমের ১৭ মাইলে বেড়াতে আসেন। অন্যান্য পর্যটকদের মতোই একটি ঝর্ণার পাশে ছবি তুলছিলেন তারা। হঠাৎ করে গোটা এলাকা কেঁপে উঠলে সেকেন্ডের মধ্যে ভয়ঙ্কর বরফের চাঁই এসে অন্যান্যদের মতো তাদেরও ঢাকা দিয়ে দেয়। বরফের তলায় প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় চাপা পড়ে ছিলেন সুমিত দাস। অরিন্দম ও তথাগতদের কোমর থেকে নিচের দিক পুরোটাই বরফ দখল করে নেয়।
সুমিত দাসের কথায়, “দূর থেকে বরফ ধেয়ে আসছে দেখে একটু সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। একটি পা সরানোর আগেই বরফ আমার ওপর পড়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় আমি বরফের তলায় ছিলাম। মুহূর্তের মধ্যে চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। জ্ঞান হারায় আমি। কিছুক্ষণ পর সেনা জওয়ানরা বেলচা দিয়ে বরফ কেটে আমাকে বের করে। তারপর আমি জ্ঞান ফিরে পাই।”
অন্যদিকে অরিন্দম দাশগুপ্ত বলেন, “ঝরনার পাশে ছবি তুলছিলাম। সেই সময় কি হল বুঝে ওঠার আগেই বরফ আমাদের ঢাকা দিয়ে দিল। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ি তিনজনেই। শরীরে আঘাত পেয়েছি। প্রকৃতির যেমন ভালো রূপ দেখেছি, একইসঙ্গে ভয়ঙ্কর রূপও পরখ করলাম।”
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বললেন তথাগত রায়চৌধুরী, “তিন বন্ধুতে মিলে সিকিম বেড়াতে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। বাড়িতে ফিরেও চোখ বুঝলে সেই মুহূর্তের ছবিটা ভেসে আসছে চোখের সামনে। (EVM News)