ব্যুরো নিউজ, ২৮ ডিসেম্বর: ট্রাম হারিয়ে কলকাতা কি তিলোত্তমা থাকবে?
একে একে যেন নিভিয়াছে দেউটি। বাম আমলের শেষেও রাজ্যে কলকাতা শহর জুড়ে ট্রাম লাইনের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ করা হয়েছিলো। ট্রামের লাইন পাতা হয়েছিলো কংক্রিটের ঢালাইয়ের উপর। কিন্তু ২০১১- এর বিধানসভা নির্বাচনে পালাবদলের পর একে একে বন্ধ হয়ে গেলো কলকাতার বিভিন্ন রুটের ট্রাম চলাচল। প্রায় মাসখানেক আগে কলকাতায় ৪ টি রুটের ট্রাম চলাচল যে টিম টিম করে টিকে আছে তাও বন্ধ হওয়ার জোগাড়। কলকাতা পুরসভা ওই ৪ টির মধ্যে মাত্র ২ টি রুটে ট্রাম চলাচলের ছারপত্র দিচ্ছে। বাকি ২ টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমন খবরের পরেই নড়েচড়ে বসেছেন বিদ্যতজনেরা। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। মোট কয়টি রুটে ট্রাম চলবে তা নির্ভর করছে হাইকোর্টের বিচারপতিদের রায়ের উপর।
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ৩ বছরের খুদের
ইতিমধ্যেই ট্রাম আগের মতো সচল রাখতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ক্যালকাটা ট্রাম ইউজারস অ্যাসোসিয়েশন। ট্রাম নিয়ে মতামত জানার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট যে কমিটি তৈরি করে দেয় তাতে রয়েছেন সিপিএম- এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিবেশকর্মী অজয় মিত্তল, ও টাউন প্ল্যানার দিপঙ্কর সিনহা। তাদের প্রত্যেকেই কলকাতা থেকে ট্রাম তুলে দেওয়ার তীব্র বিরোধী। বিষয়টি সবিস্তারে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবে।
২০১১ সালে কলকাতায় ৪০ টি রুটে ট্রাম চলতো। ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানিতে সরকারি চাকরিও করতেন বহু মানুষ। বর্তমানে যেখানে মানুষ রোজই কাজ হারাচ্ছেন, সেই জায়গায় আগের মতো ৪০ টি রুটে ট্রাম চললে ও প্রয়োজনে তার পরিধি বাড়ালে সামান্য হলেও বেকার সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু রাজ্যের নয়া সরকার ট্রাম লাইনের উপর পিচের রাস্তা তৈরি করে বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম চলাচল। বর্তমানে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত রুটে দিনে হাতে গোনা ৪- ৫ টি ট্রাম চলে। টালিগঞ্জ, গরিয়াহাট রুটের ট্রাম চলছে না চলার মতো। ট্রামের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ বহুকাল আগে থেকেই শব্দ দূষণের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছে। আর সেই সুযোগে দূষণহীন এই ট্রাম বন্ধ করে সরকারি চাকরি সঙ্কুচিত করার সুযোগ পেয়ে গেছে রাজ্য সরকার বলে বিদ্যতজনদের একাংশের অভিমত। ইভিএম নিউজ