মানব দেবনাথ, নদীয়াঃ দিনের পর দিন রাস্তায় ট্রাক্টর আটকে জোরজুলুম। বাধা দিলে বা প্রতিবাদ করলে চলে মারধর। হাতিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা। পুলিশ আর সিভিক ভলান্টিয়ারদের দীর্ঘদিনের এই জুলুম আর দৌরাত্ম্যে, একরকম অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন কৃষিজীবীরা। আর সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিল, সোমবার সরষেবোঝাই একটি ট্রাক্টর আটকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, তারপর বাধা পেয়ে এক কৃষককে বেধড়ক মারধর করার ঘটনা। অভিযোগ উঠল নদীয়ার ধানতলা থানা এলাকার একশ্রেণির পুলিশ আর সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। মার খেয়ে এক কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়লে, কৃষকদের উত্তেজনার আগুনে ঘি পড়ল। চাপরা থেকে ধানতলাগামী ব্যস্ত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, সোমবার চাপড়া থেকে বসিরহাট যাওয়ার সময়, ধানতলা থানার পানিখালী এলাকায় একের পর এক ট্রাক্টর আটকে, কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছিল, কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। কেউ প্রতিবাদ করলে, তাঁকে অকথ্য গালিগালাজ এমনকী মারধর করা হচ্ছিল বলেও, বিক্ষোভকারী কৃষকদের অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারে এক কৃষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় বলেও তাঁদের দাবি। আর এরপরেই কৃষকদের ক্ষোভের আগুন আছড়ে পড়ে রাজপথে।
পুলিশ আর সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে উত্তেজিত কষকরা কৃষকরা অভিযোগ, চাপরা থেকে ধানতলা পর্যন্ত আসতে বেশ কয়েকটি থানা তাঁদের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নেয়। কিন্তু ধানতলা থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা এদিন যে পরিমাণ টাকা চাইছিল, সেটা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন ধানতলা থানার আধিকারিকরা। তাঁদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।