জীবনে

ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি: জীবনে সাফল্য পেতে মেনে চলুন স্বামী বিবেকানন্দর এই উপদেশ

সাফল্য তো আমরা সকলেই চাই, তবে পাই কি? আর সাফল্য না পেয়ে সেই অসফলতার ভার আমরা অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই। কারণ আমরা নিজেরা কখনই নিজেকে অসফল ব্যক্তি হিসাবে মেনেনিতে পারিনা। তবে জীবনে সাফল্য পেতে হলে অবশ্যই মেনে চলতে হবে স্বামী বিবেকানন্দর এই উপদেশগুলি।

দিল্লীর রাজপথে পালিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি
দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আজও আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দ। সেই বিবেকানন্দই জীবনে কর্ম ও সফলতার বানী আমাদের শিখিয়ে গেছেন। জীবনে সফল হওয়া মোটে সহজ নয়, তার জন্য দীর্ঘ অনুশীলন ও অধ্যায়নের প্রয়োজন। তাই তাঁর লেখা কর্মযোগে বিবেকানন্দ কর্ম ও কর্মযোগ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ ভগবদ্গীতার কর্মযোগ ধারণাটি আলোচনা করেছেন। বিবেকানন্দ কর্মযোগকে একটি ধর্মপথ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এই পথে মানুষ যেমন জগতের প্রতি নিজের কর্তব্য পালন করতে পারে, তেমনি জ্ঞানার্জনও করতে পারে।

ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, শিল্প, সমাজ বিজ্ঞান, সাহিত্য এই সব বিষয়ে অনন্ত জ্ঞান ছিল স্বামী বিবেকানন্দর। তাঁর প্রয়াণের এত বছর পরেও তাঁর চিন্তা-ভাবনা, তাঁর উপদেশাবলী আজও আমাদের জীবনের পাথেয়। যুব সমাজে আজও উত্‍সাহ ও অনুপ্রেরণা দেয় স্বামীজির বাণী। সেই কারণে স্বামীজিকে 'ইয়ুথ আইকন' বলে মনে করা হয়।

জীবনে যখন কঠিন সময় আসে, তখন সাফল্য অনেক দূরের বস্তু বলে মনে হয়। সেই সময় ধৈর্য্য আমাদের ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে। কিন্তু জীবনে স্বামী বিবেকানন্দর বাণী ও অমূল্য উপদেশ মেনে চললে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাঁর সেই বানী জীবনে চলার পথে উত্‍সাহ ও অনুপ্রেরণা দেয়, মনোবল বাড়ায়।

১. কোনও কিছু শেখার জন্য মনঃসংযোগ করা সবচেয়ে জরুরি। আর মনঃসংযোগ করতে হলে ধ্যান করতে হবে। একমাত্র ধ্যান করেই তুমি নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।
২. ওঠো, জাগো এবং নিজের লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।
৩. যতক্ষণ প্রাণ আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন জ্ঞান আহরণ করতে হবে। অভিজ্ঞতাই আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
৪. লোকে তোমার নিন্দে করুক, বা প্রশংসা করুক, তোমার লক্ষ্যবস্তু তোমার কাছে থাকুক, বা দূরে, আজই তোমার মৃত্যু হোক বা ভবিষ্যতে, সত্যের পথ থেকে কখনও সরে যেও না। 
৫. যে সময়ে যে কাজ করবেন বলে আপনি কথা দিয়েছেন, সেই কাজ সেই সময়ের মধ্য়েই শেষ করুন। না হলে মানুষের বিশ্বাস আপনার উপর থেকে সরে যাবে।
৬. আমাদের চিন্তা-ভাবনাই আমাদের তৈরি করে। আমরা যেমন চিন্তা করব, মানুষ হিসেবেও আমরা তেমনই। তাই আমাদের নিজেদের চিন্তাভাবনা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
৭. একটা সময়ে একটাই কাজ করুন এবং সেই কাজ করার সময় নিজের সমস্ত আত্মা সেই কাজে সঁপে দিন, আর সবকিছু ভুলে যান।
৮. আপনি যা ভাববেন, তেমনই মানুষে পরিণত হবেন। আপনি দুর্বল চিন্তাভাবনা করলে মানুষ হিসেবেও দুর্বল হয়ে থাকবেন। আপনি যদি নিজেকে সবল ভাবেন, তাহলেই আপনি সবল হবেন।

৯. গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তি আমাদের মধ্যে। কিন্ত আমরা তা টের পাই না। নিজেদের চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে চারপাশে অন্ধকার বলে কান্নাকাটি করি।
১০. লড়াই যত কঠিন হবে, জয়ও ততই বড় হবে।
১১. সেই বিষয়ই ত্যাগ করো যা তোমাকে শরীর, বুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক ভাবে দুর্বল করে তোলে৷
১২. প্রতিদিন নিজের সঙ্গে অন্তত একবার কথা বলো, অন্যথায় হারাতে হবে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির সংসর্গ৷
১৩. মন ও মস্তিষ্কের দ্বন্দ্বে সব সময়ে অনুসরণ করবে মনকে৷
১৪. নেতৃত্বে যখন থাকবে তখন ভাব হবে দাসের মত, হতে হবে সম্পূর্ণ স্বার্থহীন, অসীম ধৈর্য ধরতে হবে৷ তাহলেই সাফল্য শুধুমাত্র তোমারই৷
সংকটের মোকাবিলা করে জীবনে সাফল্য পেতে স্বামী বিবেবাকান্দর এই বাণীগুলি আজও অপরিহার্য। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর