ছেলে

ব্যুরো নিউজ, ১০ জানুয়ারি: ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা স্টার্ট-আপ সিইও মায়ের

কথায় আছে “কু সন্তান হয়, কিন্তু কু মাতা কখনো হয়না”। কিন্তু গোয়ায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা যেন এই প্রবাদ বাক্যকেও হার মানায়। পেশায় স্টার্টআপের কর্ণধার তথা সিইও ৩৯ বছরের মা সূচনা শেঠ, তাঁর ৪ বছরের সন্তানকে নিয়ে উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিমের একটি হোটেলের অন্তর্গত সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে তিনি সেখান থেকে চেকআউট করলে দেখা যায় তাঁর সাথে তাঁর ৪ বছরের সন্তানটি নেই। সুত্রের খবর, হোটেল থেকে ঠিক করে দেওয়া স্থানীয় একটি ট্যাক্সি চড়ে তিনি ব্যাঙ্গালুরু রওনা দেন। হোটেলের কর্মীরা পরে তাঁর ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করতে গিয়ে মেঝেতে রক্তের দাগ ছড়িয়ে পরে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানান। সময় নষ্ট না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন।

সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন | প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খান

পুলিশ এসে হোটেলের সিসিটিভি চেক করলে দেখতে পান যে সূচনা একাই সেই হোটেল থেকে বেরচ্ছেন। স্বভাবতই পুলিশের এতে সন্দেহ হয়। তৎক্ষণাৎ সূচনাকে তাঁরা ফোন করে জানতে চান তাঁর ছেলে কোথায়? সূচনা খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দেন যে, তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে ছেলেকে রেখে তিনি জরুরী কাজে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছেন। বন্ধুর নাম ঠিকানাও পুলিশকে দিয়ে দেন সূচনা। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে গোটাটাই ভুয়ো। ওই ঠিকানায় ওই নামে কেউ থাকেনা।

হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, মহিলা সকালেই বেঙ্গালুরু ফেরার কথা হোটেলে জানান। হোটেলের তরফ থেকে তাঁকে বিমানের টিকিট করে দেওয়ার কথা বলা হলে তিনি জানান তিনি ট্যাক্সিতে করেই ব্যাঙ্গালুরু ফিরতে চান। এরপর হোটেল থেকে তাঁর জন্য ট্যাক্সির ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়। ব্যাগপত্র নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

এরপর পুলিশ ট্যাক্সি চালকের সাথে যোগাযোগ করে। কঙ্কণী ভাষায় তাঁকে পুলিশ গোটা ঘটনা খুলে বলে। এরপর ওই ট্যাক্সিচালক সূচনাকে কিছু না বুঝতে দিয়েই ট্যাক্সি নিয়ে সোজা আই মঙ্গলা থানায় চলে যান। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ প্রস্তুত ছিলেন। এরপর পুলিশ সূচনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু জানতে না পেরে ট্যাক্সিতে রাখা তাঁর ব্যাগে তল্লাশি করে দেখতে পায় যে সেই ব্যাগের মধ্যে তাঁর ৪ বছরের সন্তানের রক্তাক্ত দেহ রাখা আছে। এরপর পুলিশ সূচনাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিজের ছেলেকে গোয়ায় হত্যা করে সূচনা ব্যাঙ্গালুরু পালাচ্ছিলেন।

শিশুটির মৃতদেহ হিরিউর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তাঁর বাবা ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরে আসলে তাঁকে সেই হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পোস্টমর্টেম পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ডাঃ কুমার নায়েক বলেন, “শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত বালিশ বা অন্য কোনো বস্তুর দ্বারা শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডটি ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় আগে ঘটেছে। শ্বাসরোধের কারণে তার মুখ ও বুক ফুলে গিয়েছে ও শিশুটির নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল”। ইতিমধ্যেই হত্যার অভিযোগে শিশুটির মাকে আটক করা হয়েছে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে তাঁকে রাখা হয়েছে। খুনের মোটিভ সম্পর্কে পুলিশ এখনও ধোঁয়াশায়। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর