ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৩ মার্চঃ বাড়িতে পোষ্য হিসেবে কুকুর কিংবা বিড়াল আমারা অনেকেই পছন্দ করি। বাড়িতে আনি। পোষও মানাই। আসতে আসতে বড়ও করি। আর যদি সেটি হয় সুকুমার রায়ের রুমাল হয়ে গেল বেড়ালের মতো ঘটনা। অর্থাৎ ছোট মিষ্টি কুকুর ছানা ভেবে বাড়িতে আনার পর সেটা যদি হয় বিশাকালার একটি ভাল্লুক। তাহলে একটু হলেও অবাক হবেন তাই না ? যেটি স্বাভাবিক চেহারার ভাল্লুক নয়। তার ওজন প্রায় ১২৫ কেজি! শুনে চমকে গেলেন তো? আর তাঁর খাওয়া দাওয়ার বহর দেখলে তো আপনাদের চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

সম্ভবত চিনের ওই বাসিন্দা সু ইউন ২০১৬ সালে বাড়িতে আনেন একটি কুকুর ছানা। বড়ও করে তুলেন তাঁর পোষ্যটিকে । তবে দু’বছর ধরে খাওয়া দাওয়া করার পর তিনি আন্দাজ করেন, যাকে কুকুর ভেবে আনা হল , সেটা আদতে কুকুরই নয় । আস্ত একটা ভাল্লুক। বন দফতরের তরফে পরে জানানো হয়, কুকুর ভেবে যে পোষ্যটি সু ইউন পুষেছিলেন। তা আসলে এশিয়ার এক বিশেষ প্রজাতির কালো ভাল্লুক। যেটি চোরাশিকারিদের বাজারে দাম অনেক।

প্রাথমিকভাবে সুয়ের সন্দেহ হয় পোষ্যটির খাওয়া দাওয়া দেখে। দিনে অনেকবার ফল ও দু’ বালতি করে ন্যুডলস খায় ওই পোষ্যটি। আসতে আসতে বড় হতে সু লক্ষ্য করে কুকুরের মতো দেখতে পোষ্যটি দু পায়ে আবার দাঁড়িয়েও পড়েছে। এটা দেখে রীতিমত চমকে যায় সু। সেই পরিস্থিতিতে তাড়াতাড়ি করে খবর দেয় বন দফতরকে।খবর পেয়ে ঘতনাস্থলে এসে পৌঁছান বন দফতর কর্মীরা। পরে ভাল্লুকটিকে নির্দিষ্ট জায়াগায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দফতর আধিকারিকেরা।স্বাভাবিকভাবে এতদিন এত যত্নে মানুষ হওয়ার পর , যেতে কি চায় সে আর? শেষমেশ তাকে ঘুম পাড়ানী ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় নিয়ে চলে যায় অভয়ারণ্যে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর