ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ কলকাতা মহানগরীতে মৃত্যুমিছিলের স্মৃতি এখনও টাটকা। ২০২০ ও ২০২১ এর ভয়াল সেই দিনগুলির কথা আপনি নিশ্চয়ই মনে করতে চাইবেন না। করোনা-আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই কলকাতা মহানগরীতে নতুন আতঙ্কের শুরু। যেই জলবসন্তকে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম, সেই জলবসন্ত বা চিকেনপক্স যে এতটা মারণরোগে পরিনত হবে তা কে জানত!
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত তিন মাসে এই হাসপাতালে ২৬ জন রোগী চিকেনপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই রোগটি যদিও মারাত্মক ছোঁয়াচে, কিন্তু এর মারণ ক্ষমতা ততটা মারাত্মক নয়। কিন্তু গত তিন মাসে ২৬ জনের মৃত্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা মহলে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
এই পরিস্তিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে চাইছেন, চিকেনপক্সের ভাইরাস- ভ্যারিসেলা জস্টার কীকরে এতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠল আর এর চিকিৎসা পদ্ধতিটাই বা কি? এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরে সোমবার হেলথ সার্ভিসেস ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ নিয়োগী ও মেডিক্যাল এডু্কেশন ডিরেক্টর দেবাশিষ ভট্টাচার্য আইডি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিশ্বনাথ শর্মা সরকার, বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কৌশিক চৌধুরী, এসএসকেএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যোগীরাজ রায় এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডাক্তার সৌমেন্দ্রানাথ হালদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্বাস্থ্য দফতর বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কাছে ২০১৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত এই হাসপাতালে চিকেনপক্সে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানতে চেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশেসজ্ঞদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কোভিড ১৯ ভাইরাসের কোনও ভূমিকা এই মৃত্যুর পিছনে আছে কিনা।