সঙ্কল্প দে, ২৩ মার্চঃ “গাজর”- অন্যতম এক সুস্বাদু সব্জি। রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের বাজারগুলিতে এই সুস্বাদু সব্জির চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু এই বছর গাজর চাষ তেমন লাভজনক হয়নি কৃষকদের জন্য। কৃষি দপ্তর থেকেও কোনরকম সাহায্য বা সহযোগিতা মেলেনি। এমনই অবস্থা তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের অন্তর্গত মাইগঙ্গা চামপ্লাই নয়াবাড়ী এলাকার কৃষকদের।
এই প্রসঙ্গে নয়াবাড়ী এলাকার নারায়ণ বিশ্বাস নামে এক কৃষক জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শুধু তিনিই নন, কৃষির উপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল গোটা নয়াবাড়ীর মানুষ। তিনি আরও বলেন, প্রতি মরশুমেই গাজর চাষ করতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় চাষীদের। জমিতে কানি(২৪ কাঠা) প্রতি গাজর চাষ করতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয় তাঁদের। নারায়ণ বিশ্বাস আরও বলেন, এই বছর সাড়ে তিন কানি জমির উপর গাজর চাষ করেছেন তিনি, কিন্তু তা কোন প্রকার সরকারি সাহায্য ছাড়াই।
নারায়ণ বাবুর অভিযোগ, অতীতে একজন কৃষি আধিকারিক থাকাকালীন প্রায়শই কৃষি দপ্তর থেকে সাহায্য মিলতো। কিন্তু বর্তমানে কৃষি দপ্তর থেকে বিন্দুমাত্র সাহায্য পান না তাঁরা।তিনি বলেন, উৎপাদিত গাজর বাজারজাত না করতে পারলে বিভিন্ন বাজারগুলি থেকে চাষীরা তার সঠিক দাম পায়না । নিজের জমিতে উৎপাদিত গাজরগুলো তিনি আগরতলা,তেলিয়ামুড়া, মোহরছড়া, কল্যাণপুর ইত্যাদি বাজারগুলিতে সরবরাহ করেছেন। কৃষি দপ্তরের কাছে নারায়ণের আর্জি, তাঁরা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ সার ,বীজ, কীটনাশক ইত্যাদির সরবরাহ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।