সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ। আর সেই কুন্তল ঘোষ বার বার তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন।নাম উল্লেখ করেছেন জনৈক গোপাল দলপতিরও। তবে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে বাংলার প্রবাদে, কী যেন চোরে চোরে…….একটা বিষয় আছে, সেটাই।গোপাল দলপতি ওরফে বিকাশ দলপতি। কুন্তল ঘোষের দাবি তাপস মন্ডল ও বিকাশ দলপতি তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। কুন্তলের বয়ান অনুযায়ী তিনিই যদি সেই গোপাল দলপতি হন তবে তিনি তো এখন তিহাড় জেলে। প্রসঙ্গত, গোপাল ওরফে বিকাশ দলপতির বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় তাপস মণ্ডল অনেকদিন আগে থেকেই তাঁকে চিনতেন। তবে তেমন যোগাযোগ ছিল না। হঠাৎ একদিন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে গোপাল দলপতি তাপস মণ্ডলের কাছে হাজির হন। তখন তাপস মণ্ডল তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলের কাছে পাঠান গোপাল দলপতিকে । অর্থাৎ গোটা গল্পটার রন্ধ্রে রন্ধ্রে আপাদমস্তক দুর্নীতির গন্ধ।
আর সেখান থেকেই গোপাল দলপতি ও কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠতা।গোপাল দলপতিকে গোটা রাজ্যের এই সব চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার বরাত দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগই এই ত্রয়ীর বিরুদ্ধে উঠে আসছে। কারণ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডলও যে একজন অভিযুক্ত সেটা ভুলে গেলে চলবে না। তবে এই বিকাশ দলপতির বিরুদ্ধে রয়েছে একগুচ্ছ কেলেঙ্কারির অভিযোগ। ২০২০ সালে বিকাশ এবং তাঁর স্ত্রী জি নেট অ্যাডওয়ার্ল্ড কোম্পানির ৮০০ কোটি টাকা প্রতারণা কাণ্ডে জড়িয়ে ছিলেন। এরপর সিবিআই তাদের গ্রেফতার করে। এখন তাদের ঠিকানা তিহাড় জেলেই।তবে কী এবার তিহাড়ে গিয়ে গোপাল দলপতির কাছ থেকে সত্যাসত্য যাচাই করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ?কারণ দুর্নীতির একটা শিকড় যে গোপাল দলপতির কাছে ।
সুতরাং এই দুর্নীতির শুরুটা কুন্তলের কথা অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে যদি শুরু হয়ে থাকে, তাহলে কুন্তলের আদালতের বাইরে দেওয়া সদ্য বয়ান, তিনি মুখ খুলবেন বলে ভেবেছিলেন।কিন্তু সেই মুখ খোলাতে এতদিন সময় লাগলো কেনো? না জেলের গরাদের পিছনে গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে কুন্তলের এই মন্তব্য? ফলে পুকুর চুরির মতোই এর পরিধিটা বাড়ছে।
![বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দিল্লিতে রেকর্ড সংখ্যক ভোট](https://newsevm.com/wp-content/uploads/2025/02/Untitled-design1078-150x150.png)