গণপিটুনির

ব্যুরো নিউজ, ২১ ডিসেম্বর: গণপিটুনির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড | লোকসভায় নতুন বিল পাশ 

প্রতি দিনই দেশের কোথাও না কোথাও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমনকি অনেক সময়ে তার শিকার হচ্ছেন নিরাপরাধ ব্যক্তি। আবার কেউ দোষ করলে আইনের মাধ্যমে সাজা পাওয়ার আগেই সে চরম শাস্তি পেয়ে যাচ্ছে ক্ষিপ্ত জনতার কাছ থেকে।  ক্ষুব্ধ জনতা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার ফলে অনেকসময় গণপিটুনির জেরে মৃত্যুও হয়ে থেকে। এইবার এই আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধেই কড়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার লোকসভায় এই সংক্রান্ত তিনটি বিল নিয়ে বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “নতুন আইনে গণপিটুনির সাজা হিসাবে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ারও বিধি রাখা হয়েছে”।

লালু ও পুত্রকে ED-র নোটিস

উল্লেখ্য, গত বাদল অধিবেশনেই লোকসভায় তিনিটি বিল আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩’ ও ‘ভারতীয় সাক্ষ্য ২০২৩’ নামক ৩ টি বিলে নতুন করে সংশোধন আনা হয় শীতকালীন অধিবেশনে। এই তিনটি বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয় বুধবার। চলতি অধিবেশনে লোকসভার মোট ১৪৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফলে লোকসভা প্রায় বিরোধীশূন্য হয়ে পড়েছে। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তিনটি বিল নিয়ে আলোচনা শুরু করেন ও গণপিটুনির সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছাড়াও ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার কথা জানান। শাহ বলেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের সময়ে। সেই সময়ে মহাত্মা গান্ধী থেকে সর্দার পটেলদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছিল। এই প্রথমবার নরেন্দ্র মোদী সরকার ঠিক করেছে সেই আইন পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হবে”। তবে একই সঙ্গে শাহ জানিয়ে দেন, বর্তমান আইন বাতিল হলেও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় এমন যে কোনও অপরাধ শাস্তিযোগ্যই থাকবে।

আইন বদল সম্পর্কে বলতে গিয়ে শাহ বুধবার লোকসভায় জানান, কেন্দ্র চায় পরাধীন ভারতের আইন বদলে যাক। প্রসঙ্গত, বুধবারই ধ্বনিভোটে ৩ টি বিলই লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর