ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৪ জুনঃ(Latest News) পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির রহস্য কি ভেদ হতে চলেছে? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে এবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু‘র বিস্ফোরক ডায়েরি। ইডির এক সূত্রের দাবি, এই ডায়েরির মধ্যেই সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা রয়েছে বহু প্রভাবশালী নাম। এমনকি শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি এবং কয়লা পাচারের কালো টাকা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের নামে থাকা যে ১০০টি ভুয়ো একাউন্টএর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে তারও হদিস মিলেছে এই ডাইরিতে। এখন প্রশ্ন, সাংকেতিক চিহ্নে কাদের নাম লেখা রয়েছে ওই ডাইরিতে? তদন্তকারীদের দাবি, কালীঘাটের কাকুর সংস্থায় হাওলা মারফত প্রায় দশ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। বাজার থেকে তোলা এই টাকা হাত বদল হয়েছে অনেক প্রভাবশালীর কাছেই। তার হিসাব ওই ডাইরিতে লেখা রয়েছে।
২০১৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির কালো টাকা বিদেশি নানা সংস্থায় জমা পড়েছিল। পরে ওই সংস্থাগুলি থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকায় জমি ও সম্পত্তি কিনে কালো টাকাকে সাদা করা হতো। ইতিমধ্যেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র কে তার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সাতগাছিয়ার জ্ঞানানন্দ সামন্ত এবং বিষ্ণুপুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার রাহুল চন্দ্র বেড়ার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছে যে , গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণাদি নষ্ট করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই রাহুল চন্দ্র বেড়াকে।
ইডির আধিকারিকদের দাবি, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কয়লা পাচারের সেই কালো টাকাও প্রথমে হাওলা মারফত বিদেশি সংস্থায় আর তারপর সেই সংস্থা থেকে ঋণ মারফত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের নামে থাকা চারটি সংস্থা এবং একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সাদা করা হতো। ইডির দাবি অনুযায়ী,গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হতো তৃণমূলের এক যুবনেতার মাধ্যমে। কিন্তু কে সেই যুবনেতা? সে নিয়েই কৌতূহল তৈরি হয়েছে আমজনতার মধ্যে।(EVM News)