ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৩০ এপ্রিল: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। বেলা বাড়লেই গনগনে রোদে অস্থির অবস্থা। এর মধ্যে যদি জল না মেলে? এমনই পরিস্থিতির শিকার হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষ। কল আছে, জল নেই! তীব্র পানীয় জলের কষ্টে ভুগছেন বাসিন্দারা। জলের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন স্ত্রী ও পুত্র বধুরা। দূর দূরান্ত থেকে জল আনতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের পুরুষ মানুষেরা। এই পানীয় জল সংকটের এক ভয়াবহ দৃশ্য ফুটে উঠেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াগাছি গ্রামে।

 

জানা গেছে,গ্রীষ্মের শুরু থেকেই পানীয় জলের সংকটে ভুগছে ওই গ্রামের প্রায় ৪০০ টি পরিবার। নলকূপ থেকে জল উঠছে না। জলের জন্য হাহাকার করছে গোটা গ্রাম। পুকুরের নোংরা জল দিয়ে চলছে বাসন মাজা ও স্নান। কেউ কেউ আবার পুকুরের জল দিয়েই করছে ভাত রান্না।

গ্ৰাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঠে সেচের কাজে ব্যবহৃত সাবমারসিবল  পাম্প থেকে জল ভারে করে নিয়ে আসছেন গ্রামের পুরুষরা। সেই জল পান করছেন পরিবারের সকলে।

 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই গ্রামে কোনো  পিএইচই (পাবলিক  হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং) নেই। বছর চারেক আগে গ্রামে সরকার থেকে দুটো সাবমারসিবল বসানো হলেও মাস খানেক যেতে না যেতেই সেগুলো বিকল হয়ে পড়েছে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে মটর দুটি চুরি করে নিয়ে যায়। এমনকি গ্রামে থাকা একটি সরকারি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। প্রশাসনের কাছে  বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনো কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মাস খানেক আগে একটি সাবমারসিবল বসালেও সেই সাবমারসিবলের জল পান করতে দিচ্ছেন না জমির মালিক বাবুল আক্তার, এইরকমই অভিযোগ। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মজিবুর রহমান নিজের বাড়িতে সরকারি সাবমারসিবল বসিয়ে একাই ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন দুজনেই।

 

জমির মালিক বাবুল আক্তার বলেন, তার জমিতে সাব মারসিবলটি বসানো হলেও পাড়ার সবাই জল পান করছে। জল পান করতে কাউকে কখনো বাধা দেননি। তার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অপরদিকে পঞ্চায়েত সদস্য মজিবুর রহমান জানান, তিনি নিজের টাকায় বাড়িতে সাবমারসিবলটি বসিয়েছেন। না জেনেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

 

হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রায় দুই মাস ধরে জল সংকটে ভুগছেন মুড়াগাছি গ্রামের মানুষ। জলের অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে রান্না পর্যন্ত হয় না। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসুকে গ্ৰামের জলের সমস্যাটি লিখিত আকারে জানিয়েছেন। বিডিও শীঘ্রই প্রসাশনের পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন । (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর