ইভিএম নিউজ, ৯ মার্চঃ ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পর ধরা’ এই প্রবাদ বাক্যের অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করে দিলেন এক বিমানকর্মী। জুতোর সোলে, তো কখনও টেপ দিয়ে শরীরের মধ্যে জড়িয়ে, আবার কখনও ট্রলির চাকায়, কিংবা সোনা গলিয়ে মলের মতো আকার দিয়ে অন্তর্বাসের ভিতর পুরে পাচার এখন অতীত। তবে নতুন কৌশল পুলিশের চোখ এড়াতে পারেনি। হাতেনাতে সিআইএসএফ গ্রেফতার করলো ওই বিমানকর্মীকে।

মহিলারা হাত ভর্তি চুড়ি পরেন কিন্তু কখনো কি শুনেছেন ছেলেরা কব্জি অবধি চুড়ি পরে! ধৃত এই বিমানকর্মীর নাম সফি। তার দুই হাতের কব্জি অবধি চুড়ির মতো করে কেজি কেজি সোনা বেঁধে পাচার করার ছক কষেছিল সে। কিন্তু সিআইএসএফের সামনে বাধ সাধে তার ব্যবহার। ওই বিমাকর্মীর ব্যবহার দেখেই সন্দেহ বাড়ে সিআইএসএফের। প্রায় দেড় কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয় সফির থেকে।

সিআইএসএফের আধিকারিকরা বলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমান ক্রু এর আগেও সোনা পাচারের চেষ্টা করেছিলেন। তাই সফির ওপর সন্দেহ আগে থেকে ছিল। এয়ার ইনটেলিজেন্স ইউনিট খবর পেয়েছিল কোনও এক বিমানকর্মী নতুন কায়দায় পাচারের চেষ্টা করছে। তাই তক্কে তক্কেই ছিলেন গোয়েন্দারা। কারণ এর আগে পাচারকারীকে ধরা যায়নি।

গোয়েন্দা সুত্রে খবর, চুড়ির মতো করে দুই হাতের কব্জিতে সোনা পড়েছিলেন ওই বিমান ক্রু। শার্টের ওপর থেকে বোঝাই যাবে না ভেতরে হাতে কিছু রয়েছে। কোচি বিমানবন্দর থেকে আরও একজন সোনা পাচারকারীকে ধরা হয়েছে।

ড্রাগ এবং সোনা পাচারের খবর দিন দিন বেড়েই চলেছে ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে। নিত্যনতুন কায়দায় পাচারকারীরা সোনা ও ড্রাগ পাচারের চেষ্টা করছে। সিআইএসএফ আধিকারিকরা বলেন, এতো গ্রেফতারির পরও এই পাচারে রাশ টানা যাচ্ছে না।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর