এনআরএসের 

ব্যুরো নিউজ, ১২ নভেম্বর: এনআরএসের লাশকাটা ঘরের সামনে ভূতের পুজো?

‘তারে আমি চোখে দেখিনি, তার অনেক গল্প শুনেছি’। চোখে না দেখলেও মাঝেমধ্যে অনুভব করা যায়! ভরসন্ধেয় কেউ যদি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে শ্যাওড়া গাছের চাতালে বসে তবে একটা অদ্ভুত হাওয়া বয়ে যায়! গাছের পাতা নড়ে না! মড়া পচার গন্ধের মধ্যেই সুগন্ধী!

২৬৫ বছরের প্রেমপত্র উদ্ধার! কী লেখা সেই চিঠিতে?

এটা কয়েক সপ্তাহ আগের কথা, গলায় দড়ি দিয়ে মৃত এক বৃদ্ধের দেহ নেওয়ার জন্য় লাশকাটা ঘরের সামনে অপেক্ষা করছিলেন ৪-৫ জন যুবক। আচমকা একটি ঘূর্ণি হাওয়া, সপাটে দরজা খুলে গেল লাশকাটা ঘরের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক ব্যক্তি ছুটে বেরিয়ে আসলেন লাশকাটা ঘর থেকে, চিৎকার করে বলে উঠলেন, “আমি পারব না। অসম্ভব।” তাঁর চোখ দুটো ঠিকরে বেরোচ্ছিল।

উদভ্রান্তের মতো ঘোলাটে দৃষ্টি। ছেলেরা হকচকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী হয়েছে? বলার সঙ্গে সঙ্গে ফের একটা দমকা হাওয়া। দলের একজন উলটে পড়ে গেলেন। বাকিরা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দেয়। দিনটা ছিল শনিবার। ভরসন্ধা!

কিছুক্ষণ পর দল ভারি করে যুবকরা ফিরে আসেন লাশকাটা ঘরের সামনে, জানা যায় যতবারই ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ ধরতে চাইছিলেন ততবারই সটান উঠে বসেছিল মৃতদেহ। বার কয়েক বন্ধ চোখ খুলে গিয়েছিল, জিভটা না কি বের হয়ে এসেছিল।

বেশ কয়েকবার অনেকের চেষ্টায় লাশটাকে কোনও মতে শোয়ানো হলেও ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। লাশ বাঁধার সময় এক ডোমের কানের কাছে কে যেন বলে যাচ্ছিল, ‘কাজটা ভালো হল না। পরে মজা টের পাবি!’ শোনা যায়, অপঘাতে মড়া সেই বৃদ্ধের লাশ নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়েছিল যুবকদের।

এরকম অসংখ্য গল্প জড়িয়ে আছে এনআরএসের লাশকাটা ঘরের সামনের শ্যাওড়া গাছকে নিয়ে। সিমেন্টের চাতাল করা ওই জায়গায় লাশকাটা ঘরে কেউ ভুলেও বসে না শনিবার। মাঝেমধ্যে না কি খোনা গলা কেউ ডুকরে কেঁদে ওঠে! ঘূর্ণি হাওয়া বয়! সদ্যোজাতর কান্না, তরুণীদের হাসি, সবমিলিয়ে একটা অদ্ভুত মিথ তৈরি হয়ে গিয়েছে শ্যাওড়া গাছকে ঘিরে। আর এই মিথটাকে সম্বল করে প্রতি বছর কালীপুজোয় ভূত পুজো করা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শ্যাওড়া গাছের নিচে।

কালীপুজোর বদলে ভূত পুজো? অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী অ্যানাটমির শিক্ষক। “তিনি বলেন, “৩০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে অনেক চেষ্টা করেও ভূতের দেখা পাই না। আক্ষেপটা থেকেই যাবে। হাসপাতালে পুজো অনুচিৎ। কিন্তু ভূত পুজোতে বাধা আছে কি না তা জানতে হবে।” বলেই মুচকি হাসেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর