ইভিএম নিউজ,২৫ ফেব্রুয়ারিঃ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। আর ঠিক তার পরেরদিন অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কি এই বিতর্ক? রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর ট্যুইটারে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, “আজ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। সকল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এ বারের মাধ্যমিক পরিক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে”। সুকান্ত মজুমদারের এই পোস্ট নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। তবে তাঁর এই অভিযোগে ‘স্পষ্ট জবাব’ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
শুক্রবার বিকেলে পর্ষদের তরফ থেকে বলা হয়, ট্যুইটারে সুকান্তের পোস্ট করা ছবি ১৬ পাতার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ২, ৩ এবং ১০ নম্বর পাতার। তবে, “এটি কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত। সেই পরিকল্পিত অন্তর্ঘাতের উৎস তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন”। তাঁরা আরও বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা শুরু হয় ১২ টায়। তাই যখন ছবি তোলা হয়েছে সেইসময় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন হলেই। তাই পরীক্ষার ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি।
কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষাকেন্দ্রে ছবি তোলা হল কী করে? এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা একদমই নিষিদ্ধ। কিন্তু আমাদের তো ‘মেটাল ডিটেক্টর’ ব্যবহার করা হয় না। তাই শিক্ষক- শিক্ষিকাদের আড়ালেই কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল সঙ্গে নিয়ে ঢুকে যেতে পারে”। এমনটাই মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সুকান্ত বাবু যখন প্রশ্নপত্রের একাংশের ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করেন তার ঠিক ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট আগেই পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলত, দুপুর দেড়টার পর থেকে খাতা জমা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেয়েছেন সকলে। সেইদিক দিয়ে দেখতে গেলে সুকান্ত বাবুর প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই অভিযোগটিকে ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ বলা ভুল হবে।