সঙ্কল্প দে, ৩১ মার্চঃ অয়ন শীলের নয়া কীর্তি!( EVM News Kolkata) রাজ্যে চাকরি দুর্নীতি চক্রের জাল ঠিক কতটা গভীরে? ইডি-র আইনজীবীরা আদালতে একাধিকবার তাদের বয়ানে বলেছেন, এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে, যতটা সন্ধান পাওয়া গেছে, তা হিমশৈলর চূড়া মাত্র। তারা যে কতটা সঠিক, তার হাতে গরম প্রমাণ মিলল আবারও।

নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন, অথচ টাকা অর্থাৎ ঘুষ দিতে পারেননি বলে নিজের এক প্রতিবেশীর চাকরি বাতিল করেছিল অয়ন। হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি। কিন্তু ঘুষ না দিতে পারায় সেই সরকারি চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এ রকমই মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন চুঁচুড়ার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্য।

তবে জল অনেক গভীরে। কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক অয়নকে সাহায্য করতেন, এরকমই অভিযোগ চয়নিকার। এ এক দুষ্টচক্র। কতটা গভীরে তার শেকড়, তা বোঝা যায় যখন চয়নিকাকে সরকারি আধিকারিকরা স্পষ্ট বলে দেন, অয়নের কাছে টাকা না দিলে চাকরি হবে না।

চয়নিকা আঢ্যর চাকরি হয়েছিল স্পোর্টস কোঠায়। জাতীয় স্তরে যোগাসন চ্যাম্পিয়ন। পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারভিউয়ে ডাক পান। গ্রুপ ডি পদের ইন্টারভিউ এ পাসও করেন। চাকরিও হয়ে যায়। ২০১৯ এর ১১ই নভেম্বর জয়েনিং লেটার হাতে আসে। কিন্তু সেই নাম বাদ পড়ল। অবিশ্বাস্য, সত্যিই অবিশ্বাস্য। রাতারাতি নাম বাদ। সরকারি চাকরি হয়ে যাওয়ার পর, কাজে যোগ দিয়ে কয়েকদিন কাজ করার পরও। এমনকি মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষ থেকে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছিল।

এই অবিচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন চয়নিকা। কিন্তু লাভ হয়নি। নিজে ভুক্তভোগী, তাই অন্যদেরও সচেতন হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। সে বার্তা প্রতিবাদের, সে বার্তা ন্যায্য অধিকারের।

চয়নিকার বিয়ের পর পদবী বদল হয়ে হয়েছিল লাহা। এরপর ডিভোর্স হয়েছিল। সেই সময়ই চাকরি নিয়ে এই ডামাডোল। চয়নিকার বৃদ্ধ বাবাও অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন মেয়েকে নিয়ে। কিন্তু লাভ হয়নি। এত কিছুর পরও অয়নের সল্টলেকের অফিসে ডাকা হয়েছিল চয়নিকাকে। সেদিন তিন ঘন্টা অয়নের অফিসে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ওই দিনই গ্রেফতার হন অয়ন।
কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির কি হবে? যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বেআইনিভাবে চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে সওয়াল করেন, সে রাজ্যের সরকার বা প্রশাসনের উপর কিভাবে ভরসা রাখবেন যোগ্য প্রার্থীরা? যেখানে রাজ্যের আরেক মন্ত্রী দলীয় কর্মী সভায় বলেন শুধুমাত্র তৃণমূলের দলীয় কর্মীরাই চাকরি পাবে, সে রাজ্যে চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ ব্যবস্থা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ হবে কি করে? যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত প্রার্থীরা ভরসা কি সত্যিই রাখতে পারবেন? পারা যায় কি? যোগ্য অথচ বঞ্চিতরা এ প্রশ্ন তো করবেনই, করছেনও।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর