ইভিএম নিউজ ব্যুরো, অগাস্টঃ (Latest News) পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয়েছিল অশান্তি। রোজকার বোমাবাজি-গুলিতে তপ্ত ছিল ভাঙড়। মনোনয়নপর্ব থেকে বোমা-গুলি ঘটনায় মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে শেষমেষ ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এরপর ভাঙড়ে ঢুকতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিরা। কিন্তু তাঁদের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকার মধ্যেও ভাঙড়ে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
গত ১২ জুলাই ও ১৭ জুলাই ভাঙড়ে ঢুকতে চেয়েছিলেন নওশাদ। কিন্তু তাঁকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময়ে রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয় যে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হচ্ছে এদিন থেকেই। তখনই বিচারপতি জানিয়ে দেন তাহলে আর বিধায়কের ভাঙড়ে ঢুকতে কোনও বাধা রইলনা। এ বিষয়ে ভাঙড়ের এক বাসিন্দা শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ভোট ঘোষণার পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে কার্যত ভাঙড়ের বড় বাজার বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বার হতে ভয় পাচ্ছিলেন । আবারও ভাঙড়ে শান্তি ফিরে আসুক। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়। সেই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে সোমবারের পর থেকে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হল। (EVM News)