শ্রাবণী দাসগুপ্ত, ১৭ মার্চঃ বইয়ের নাম ‘প্রসঙ্গ চিরঞ্জিত’। নামটা হতেই পারত চিরঞ্জিতকে যেমন দেখেছি। কারণ এই বইয়ের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে একাধিক সেলিব্রিটির চিরঞ্জিত চর্চা।১৩ই মার্চ প্রকাশিত হল অভিনেতা চিরঞ্জিতের জীবনের নানা জানা-অজানা তথ্য সম্বলিত বই ‘প্রসঙ্গ চিরঞ্জিত’। হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বাংলা সংস্কৃতি জগতে এই ধরনের উদ্যোগ এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি।
চিরঞ্জিতকে নিয়ে এই ধরনের বইয়ের কাজটা একেবারেই সহজ ছিলনা। কারণ, একাধারে তিনি যেমন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্য পরিচালক,চিত্র পরিচালক এবং কবি অন্যদিকে বিধায়কও বটে। তিনি একজন চিত্রশিল্পী এবং সুগায়কও। কাজেই যখন তাঁর সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তখন এই সমস্ত আঙ্গিক না থাকলে সেটা হয়ে যায় অসম্পূর্ণ। ‘ প্রসঙ্গ চিরঞ্জিত’ কিন্তু সেই গণ্ডি থেকে বেড়িয়ে মাল্টি ডায়মেনশনাল ব্যাক্তিত্ব চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে তুলে ধরতে পেরেছে, সম্পূর্ণতা দিতে পেরেছে।
বেশ কিছু অজানা তথ্যও রয়েছে এই বইতে। চিরঞ্জিতের আসল নাম দীপক চক্রবর্তী- একথা হয়তো তাঁর অনেক গুণমুগ্ধরই অজানা ছিল। এই বইতে সে তথ্যও রয়েছে। অর্থাৎ চিরঞ্জিত যেমন আছেন, একই ভাবে আছেন দীপক চক্রবর্তীও।
একাধিক ভূমিকা, একাধিক মানসিকতার মেলবন্ধন। কখনো রাজনীতিক, কখনো অভিনেতা, কখনো কবি, কখনো শিল্পী। তবে অভিনয় এবং তার পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক জীবন- দুটোতেই বেশ স্বচ্ছন্দ লাগে নিজেকে ,এমনটাই জানিয়েছেন দীপক অর্থাৎ চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
দলীয় বিধায়ক হিসেবে যোগাযোগ তো থাকেই কিন্তু ব্যক্তি চিরঞ্জিত ঠিক কেমন? তাঁর সহ- বিধায়ক, তাঁর দলের মন্ত্রীগণ- তাঁদের চোখে চিরঞ্জিত কি রকম? মন্ত্রী বা বিধায়ক হিসেবে নয়, একজন দলীয় সহকর্মী বা সহমর্মী হিসেবেইবা কি চোখে দেখেন তাঁরা এই অভিনেতা বিধায়ককে? সে কথা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শোভন বাবু বলেন,” অভিনেতা চিরঞ্জিত এবং বিধায়ক চিরঞ্জিত এই দুটি সত্ত্বাই আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং আমি চিরঞ্জিতের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি”।
‘প্রসঙ্গ চিরঞ্জিত’ বইটির পরিকল্পক ও সংকলক ‘কথোপকথন প্রোডাকশনস’।সম্পাদনা করেছেন চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং অমিত শঙ্কর দাস। বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। চিরঞ্জিত প্রসঙ্গে এই বইতে লিখেছেন প্রসেঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শতাব্দী রায়, রাজা সেন, প্রভাত রায়, রজতাভ দত্ত, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, গৌতম ভট্টাচার্য, সমীর আইচের মতো স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা।