ব্যুরো নিউজ, ১৩ অক্টোবর: রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশ ও রেল বোর্ডের নির্দেশে দেশের সুপারফাস্ট ট্রেনগুলির নিরাপত্তা ও তদারকি এবার প্রশ্নের মুখে। জানা গিয়েছে দেশের রাজধানী ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো গাড়িগুলিতে রেলের এসকর্ত স্টাফেদের চলন্ত গাড়িতে কর্তব্যরত অবস্তায় দেওয়া হয়েছিলো ওয়্যারলেস। কিন্তু বেশ কিছু মাস আগে রেল বোর্ড এক নির্দেশ জারি করে, সেই ওয়্যারলেস সেটগুলি ব্যাবহার না করতে জারি করে অধ্যাদেশ।
বিমানে সময় লাগে মাত্র ৫৩ সেকেন্ড! জানেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম বিমান র্যুট কোনটি?
এই ঘটনায় ওইসব প্রিমিয়াম ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে কিছুটা আতঙ্কিত। বর্তমানে ওই চলন্ত গারিগুলিতে এসকর্ত স্টাফেদের হাতে রয়েছে নিজেদের মোবাইল ফোন। তবে রেল কর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই স্টাফেরা এইবার রেলে দেওয়া নাম্বার এ মোবাইল ফোন গুলি ব্যাবহার করতে পারবেন। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান রয়ে গেল অধরা। যদিও ওই প্রিমিয়াম ট্রেন গুলির চালক ও গার্ডদের গাড়ি প্রতি দুই বা তিনটি ওয়্যারলেস দেওয়া হয়েছে।
ওয়্যারলেস যন্ত্র, চলন্ত গাড়িতে ড্রাইভার গার্ড ও এসকর্ত স্টাফেদের হাতে যখন ছিল তখন ড্রাইভার কোন আসুবিধা বা ঝুকি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে তা ওয়্যারলেসে গার্ড কে জানিয়ে দিতেন ও তৎক্ষণাৎ তা এসকর্ত স্টাফেরাও জেনে যেত তাদের হাতে থাকা ওয়্যারলেস যন্ত্র থেকে। গাড়ির ত্রুটি বিচ্যুতি জানতে পারলেই সংশ্লিষ্ট এসকর্ত স্টাফ জানিয়ে দিত সকলকে। বিপদ থেকে ইতিকর্তব্য সাথে তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে লেগে যেত। কিন্তু মোবাইল ফোনে অসুবিধা বিস্তর। যেমন প্রথমে রিং করলে ওপার থেকে ভেসে আসত কবিরের বার্তা। সেটি শেষ হলে তবেই গাড়ির অপর স্টাফ বিষয়টি জানতে পারতো। এছাড়া বহু জায়গাতেই মোবাইল যোগাযোগ ঠিকমতো পাওয়া যায় না। তবে কোন ত্রুটি বা দুর্ঘটনার কারনে যদি ড্রাইভার গাড়িটি মাঝ পথে কোথাও দাড় করিয়ে দেন তবে তার কারন এসকর্ত স্টাফেদের সঙ্গে সঙ্গে জানার কোন সুযোগ এখন নেই। ফলে ওই ১৯ বা ২৩ বগির গাড়িগুলির এসকর্ত স্টাফেদের ছুটতে হয় গার্ডের কাছে।
গাড়ির একেবারে শেষে গার্ডের কামরা থেকে খবর পেয়ে সকলকে জানাতেও লেগে যায় বিস্তর সময়। এখানে দেশের নিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে রেল কর্তাদের জানানো হয়েছে একমাত্র পুলিশই ব্যাবহার করতে পারে ওয়্যারলেস। এসকর্ত স্টাফেদের হাতে তা রাখা যাবে না। ইতিমধ্যেই দেশের ওই প্রিমিয়াম ট্রেনগুলি যাতায়াতের পথে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও এসকর্ত স্টাফেরা জানতে পারেনা। অন্যদিকে এসকর্ত স্টাফেদের নজরে এমন ঘটনা ঘটলেও তা দ্রুত জানানো সম্ভব হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট গার্ড ও ড্রাইভার কে। ওই গাড়িগুলিতে সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করেন গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীরা। ফলে তাদের সঙ্গে সাধারন যাত্রীদেরও নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। সমস্যা থাকলেও রেল বোর্ড চলছে ধীর গতিতে। আদৌ কি এর দ্রুত সমাধান সুত্র বের করবেন রেল বোর্ডের কর্তারা? রয়ে গেল সেই প্রশ্নই। ইভিএম নিউজ