অর্পণ সেনগুপ্ত, ১২ অগাস্টঃ (Latest News) আজ মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচে ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি হতে চলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যুবভারতীতে খেলা শুরু বিকেল পৌনে পাঁচটায়।
ভেতো বাঙালির বেঁচে থাকার অন্যতম রসদ হলো ফুটবল। চামড়ার এই গোলকটিকে নিয়ে মাতোয়ারা হয়নি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়াই মুশকিল । এই ফুটবলের দৌলতেই অমরত্ব প্রাপ্ত বাঙালির দুই প্রিয় ক্লাব মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। একদিকে প্রথমবার ইংরেজদের হারিয়ে পরাধীন ভারতে প্রথমবার ক্ষীণ স্বাধীনতার আশা জোগানো মোহনবাগান , যার কাছ থেকেই বাঙালি প্রথম পেয়েছিলো বেঁচে থাকার রসদ। অন্যদিকে, বঙ্গ ভঙ্গের পর ছিন্নমূল বাঙালি মানসিক আশ্রয় পেয়েছিলো ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। তখন থেকেই চলছে বাঙালিদের এই চিরপ্রতিদ্বন্দিতা। ১৯২১ সালে কোচবিহার কাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই রেকর্ড সকল বাঙালিদেরই ঠোঁটস্থ। মোট ৩৮৯ বারের সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে ১৩৭ বার এবং ১২৭ বার জিতেছে মোহনবাগান। শেষ ৭টি ডার্বিতে অবশ্য জিতেছে মোহনবাগান। তাই আজ ইস্ট – মোহন ধর্মে দীক্ষিত বাঙালিদের ঠিকানা হতে চলেছে যুবভারতী।
আইএসএলে চাম্পিয়ন হওয়ার পরেই একবারে কোমরবেঁধে নেমে পড়েছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। সামাদ , থাপা , আনোয়ার , কামিংস , সাদিকুর মতো ফুটবলারদের সই করিয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র দেশ নয় দেশের বাইরে ট্রফি জেতাটাই লক্ষ্য তাদের । আজ ডার্বির আগেই প্রায় পাঁচজন ফুটবলারকে নথিভুক্ত করেছে তারা। দলে চোট আঘাত সমস্যা না থাকায় আজ পূর্ণশক্তির দলই নামাবে মোহনবাগান এই কথা পরিষ্কার। সামাদ, থাপা, কামিংস, আনোয়ার, সাদিকুরা মুখিয়ে আছেন প্রথবার ডার্বি খেলার জন্য। এইরকম ইস্টবেঙ্গলকে পেয়ে আজ প্রথম থেকেই আক্রমণের বুলডোজার চালিয়ে দিতে চায় মোহনবাগান। সমর্থকদের দাবি আজকেই তাদের মুক্তি দিতে হবে ৫-০ এর লজ্জা থেকে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে থেকেই নামতে চলেছে। মরশুমের শুরু থেকে একেবারে খোলনলচে বদলে শুরু করেছে তারা। কার্লস কুয়াদ্রাতকে কোচ হিসেবে আনার পর তিনি একে একে দলে নিয়েছেন নিশু কুমার, নান্দা কুমার, খাবরা, গিল, সিভেইরো, বোরহা প্রমুখ ফুটবলারদের। আজ ডার্বিতে তারা চাকা ঘোরাতে মরিয়া। আজ ইস্টবেঙ্গলকে তাদের সেরা অস্ত্র ক্লিটনকে ছাড়াই ডার্বিতে মাঠে নামতে হবে। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ডার্বিতে নেই নিশু কুমার।
ডার্বি ম্যাচ সবসময়ই ৫০-৫০ । কিন্তু , আনপ্রিপারেড ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হবেনা বলেই মনে করছেন মানস ভট্ট্যাচার্য , দীপেন্দু বিশ্বাস, সায়ন্তন দাসরায়ের মতো প্রাক্তনীরা। তবুও, অতীতে ডার্বি ম্যাচে অনেক উলটপুরাণ দেখেছে যুবভারতী। এইবার এটাই দেখার , মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগ এবং মাঝমাঠকে কিভাবে রুখবেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। (EVM News)