ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৩ ফেব্রুয়ারিঃ বিদেশি রাষ্ট্রের প্রধান হওয়ার দৌড়ে গত কয়েকবছর ধরে হঠাৎই যেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থীদের বাড়বাড়ন্ত তৈরি হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেটে আগেই জায়গা পেয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। আর বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের অভিষেকেও যেন, ভারতীয় উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা থামতে চাইছে না। এবার বিশ্বের অন্যতম বড় শক্তিধর মার্কিন সরকারের প্রেসিডেন্ট পদে ভেসে উঠলো আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম। সব ঠিকঠাক থাকলে, যে বাইটনের পর রিপাবলিকান পার্টির দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চলেছেন, বিবেক রামস্বামী।
যদিও ২০২৪ সালের সেই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার বহু আগেই, বিষয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা রামস্বামী বুধবার তাঁর লক্ষ্য ঘোষণা করে দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে, চীনের ওপর আমেরিকার নির্ভরশীলতা কমানোই হবে তাঁর অন্যতম কাজ এমনটাই জানিয়েছেন বিবেক রামস্বামী।
উল্লেখ্য, নিকি হ্যালি ২০২৪ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে, শীর্ষ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তালিকায় সর্বশেষ একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বুধবার প্রযুক্তি উদ্যোক্তা রামাস্বামী বুধবার ঘোষণা করেছেন যে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলে চিনের ওপরে নির্ভরশীলতা কমাবেন।
রামাস্বামী টুইট করে বলেন “আমরা আমাদের ‘বৈচিত্র্য’ এতটাই উদযাপন করেছি যে আমরা আমেরিকানদের মতো একই রকমের সমস্ত উপায় ভুলে গেছি, আদর্শ দ্বারা আবদ্ধ যা ২৫০ বছর আগে একটি বিভক্ত। হেডস্ট্রং গোষ্ঠীকে একত্রিত করেছিল। আমি আমার হাড়ের গভীরে বিশ্বাস করি সেই আদর্শগুলি এখনও বিদ্যমান। আমি তাদের পুনরুজ্জীবিত করার জন্য রাষ্ট্রপতির জন্য দৌড়াচ্ছি। ”
বিবেক রামাস্বামীর শিকড় কেরলাতে হলেও বেড়ে উঠেছেন আমেরিকার ওহিওর সিনসিনাটিতে । রামস্বামী 2007 সালে হার্ভার্ড কলেজ থেকে জীববিজ্ঞানে স্নাতক অধ্যয়ন শেষ করেন এবং পরে ইয়েল ল স্কুলে ডক্টর অফ জুরিসপ্রুডেন্স করার জন্য চলে যান। ২০১৪ সালে বিবেক রোইভ্যান্ট সায়েন্স নামক প্রযুক্তি সংস্থা গঠন করেন এবং ২০২২ সালেই তিনি নতুন আরও একটি হেলথকেয়ার ও টেকনোলজি কোম্পানি খোলেন বলে জানা যায়। তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, “আপনি যদি আলাদা হতে চলেছেন তবে আপনিও অসামান্য হতে পারেন। অর্জন ছিল আমার এগিয়ে যাওয়ার টিকিট। আমি বহু বিলিয়ন ডলার কোম্পানি খুঁজে গিয়েছিলাম এবং আমি বিয়ে করার সময় এটি করেছি – একটি পরিবার গড়ে তোলা এবং ঈশ্বরের প্রতি আমার বিশ্বাস অনুসরণ করে।”