শ্রমিকদের

ব্যুরো নিউজ, ১৫ ডিসেম্বর: ভাটায় বিস্ফোরণ | শ্রমিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের দশটি ব্লকে ৮৭২টি ইটভাটা রয়েছে। তার সঙ্গে প্রায় ৪ লক্ষ শ্রমিক ও তাদের পরিবার, ক্ষুদ্র, মাঝারি, ও বড় ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কেউ আবার বেলদার, কেউ ভ্যানচালক, কেউ আবার মাটি কাটার কাজ করেন। পায়েস- পিঠে তৈরি করার এই শীতের মরশুম পরলেই কাজ করার জন্য ভিন রাজ্যে থেকে শ্রমিকরা বাংলায় এসে ভীর জমান। এই কাজ করতে শুধু শ্রমিক না, তার সঙ্গে তাঁর পরিবার,  ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি, ও বড় ব্যবসায়ীরাও যুক্ত। সবমিলিয়ে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। আর সেই শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্মা প্রকাশ করেছেন।

জীবন যুদ্ধে জয়ী রাজনগরের সৌমি

বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে আমরা তার জন্য সমস্ত জেলা প্রশাসন, ভাটা মালিকসহ শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে দক্ষ শ্রমিকদের স্বার্থ, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, নিশ্চিত করে আগামী দিনে ভাটা শিল্প বাঁচিয়ে রাখার সবরকম চেষ্টা করব”। ভাটা মালিকরাও দাবি করেন, এই ঘটনা যাতে না হয়, শ্রমিকদের সুরক্ষিত করে সবদিক রক্ষা করে এই শিল্পটাকে বাজিয়ে রাখতে হবে। যাতে পুনরায় এই ঘটনা না ঘটে তার জন্য বাটা মালিকদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেই তারপরে চিহ্নিত জায়গায় আগুন দেওয়া উচিৎ।

ভাটার মহিলা শ্রমিক বলেন, আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে সবাই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। যখন তখন ছেলে মেয়েরা এই ভাটার কারণে উঠে যায়। আজকে যেভাবে মৃত্যু ঘটলো, ও যেভাবে তাঁরা স্বজন হারালো, আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? ভাটা মালিকদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিকদের স্বার্থ, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, সুনিশ্চিত করতে হবে যাতে আগামী দিন এইরকম ধরনের ঘটনা না ঘটে। এই শিল্পের উপরেই আমাদের নির্ভর করে জীবন জীবিকার রুজি রোজগার চলে।

বসিরহাট পুলিশ জেলার ডিএসপি গোলাম সারোয়ার বলেন, “আগামী দিন যাতে ভাটা শ্রমিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, তার জন্য প্রটোকল মেনে প্রশাসনিকভাবে সব রকম ব্যবস্থা করা হবে”। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর