রাজীব ঘোষ, ২৬ অক্টোবর: বাজার নিয়ে ভাবনা নেই, SIP বিনিয়োগ জবরদস্ত কৌশল
দিনের পর দিন বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। তার কারণ, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিয়ে গণ্য করা হয়। তার কারণ বাজারে থোক টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। আর তা না বিনিয়োগ করার জন্য এখানে লস এর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। প্রতিমাসে অল্প অল্প পরিমাণে টাকা দিয়ে বাজারের বিভিন্ন সম্পদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায়। আর যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ফান্ড ম্যানেজাররা পরিচালনা করে থাকে, তাই এখানে খুব কৌশলে এসআইপিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সেই টাকাকে বিভিন্ন সেক্টরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
মোক্ষম ধাক্কা| হুড়মুড়িয়ে নামলো শেয়ার বাজার
আর তার ফলে বাজার থেকে লোকসানের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সব থেকে দুর্দান্ত পথ হল SIP অর্থাৎ সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। এই পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠলেও এক কথায় বলা যেতে পারে, SIP পদ্ধতি সবথেকে সঠিক ও সহজ। এর মাধ্যমে প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেবিট হয়ে যায়। বিনিয়োগ চলতে থাকে, বাড়তে থাকে মূলধন।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চাইলে বাজার সম্পর্কে কিছুটা ধ্যান-ধারণা থাকা দরকার। একেই টাইমিং দ্য মার্কেট বলা হয়। তবে এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে বাজার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ প্রতিমাসেই বাজার ওঠা নামা করে। আর যেহেতু প্রতি মাসেই অল্প অল্প বিনিয়োগ করা হয় তাই সেখানে লোকসান গায়ে লাগেনা। আর দীর্ঘমেয়াদে SIPর মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে একটা গড় উচ্চ এবং নিম্ন বলেই ধরা হয়, যাকে Rupee Cost Averaging বলা হয়। এসআইপির পরিমাণ কমানো বাড়ানো যেতে পারে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এসআইপি করা লাভজনক। তাতে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। আর সময় বেশি থাকলে সুদের পরিমাণও বাড়ে। তাই স্বল্পমেয়াদী বাজারের অস্থিরতার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে তা পড়ে না। ইভিএম নিউজ