ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ গণতান্ত্রিক চীনের সঙ্গে কি সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক কমছে? ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের একের পর এক দেশ পুতিনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ধরি মাছ না ছুঁই পানি-র কৌশল নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। অন্যদিকে, অরুণাচলসহ চীন সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডে লাগাতার নজরদারি আর চোরাগুপ্তা হানার অভিযোগে, শি জিনপিংয়ের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ ভারত একের পর এক পাল্টা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশ্বের অন্যতম আর্থিক ও পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে ওঠা ভারতকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে, দীর্ঘদিন ধরেই বাধা দিচ্ছে চীন। এমনকী এনিয়ে পাল্টা পাকিস্তানকে সেই পরিষদের সদস্য করতে, নানাসময়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে আবেদন করা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। সম্প্রতি নয়াদিল্লির এক সভা থেকে রুশ সরকারের সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন, ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিস কলিপভ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে ভারতের অবস্থান এবং ভারত-রাশিয়া বানিজ্যিক সুসম্পর্কের কথাও শোনা গেল অলিপভের গলায়।রাশিয়া যে বর্তমানে ভারতে সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ, সেই কথাও বলতে ভোলেননি রুশ রাষ্ট্রদূত।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরপেক্ষ বিদেশ নীতির জন্যেও ভারতকে ধন্যবাদ জানান রুশ রাষ্ট্রদূত। সেই সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাতিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মোদী । কথা বলেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতির সমাধান সম্ভব , সেটা একাধিকবার তুলে ধরেছেন মোদী । সম্প্রতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন ,রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি যাতে দ্রুত আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শেষ হয় ,তার ওপর বার বার জোর দিয়ে এসেছে ভারত । ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্থানে পুতিনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন মোদী ।সেই বৈঠকেও যুদ্ধের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। মোদী বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়”। যুদ্ধ কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না।