ধান

ব্যুরো নিউজ, ৭ ডিসেম্বর: ধান কিনতে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ধলতা | প্রতিবাদে কৃষকেরা

 

মালদার গাজোলের হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের কিষাণ মান্ডিতে বেশি পরিমাণে ধলতা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, মালদা জেলায় রাজ্য কৃষি দপ্তরের অধীনস্থ কিষান মান্ডিতে কৃষকেরা এসেছিলেন সরকারি ন্যায্য মূল্যের ধান দিতে। অভিযোগ, সেই ধান দিতে এসে তাদের চরম হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে বেশি করে ধলতা চাওয়া হচ্ছে। যার ফলে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন।

চাষিরা এই নিয়ে রীতিমতো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কৃষকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার সর্বদা বলছে যে তাঁরা কৃষকেদের পাশে আছে। কিন্তু তাঁর পরেও দেখা যাচ্ছে চাষীদের কাছ থেকেই বেশি পরিমাণে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে কুইন্টাল প্রতি ১ থেকে ২ কিলো ধলতা নেওয়ার কথা ছিল, সেখানে দেখা যাচ্ছে কৃষকের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ ও ৭ কিলো করে ধলতা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দেশে কমেছে চায়ের রফতানি 

শুধু তাই নয়। বন্যার সময় মালদা জেলার বামন গোলা ,হবিবপুর, ও বিশেষ করে গাজোল ব্লকে বন্যার জলে ধানের জমি ডুবে গিয়েছিল। সে সময় রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর থেকে একটি সার্ভে করা হয় ও যে সমস্ত কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পুরাতন মালদার কৃষকদেরও একই অভিযোগ। কিন্তু আজকে প্রায় ১ বছর হতে চলেছে সেই ক্ষতিপূরণ সরকার দেয়নি। মহাজনের কাছ থেকে চরা সুদ নিয়ে তারা আবার ফসল চাষ করেছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না অন্যদিকে বেশি পরিমানে কৃষক মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ধলতা চাওয়ার অভিযোগের ফলে চরম সমস্যায় পরেছেন মালদার কৃষকরা। আগামী দিনে সরকার যদি তাদের ক্ষতিপূরণ ও কম পরিমাণে ধলতা না নেয় তাহলে কৃষকরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন।

আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় বর্মন জানান, কৃষকদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। সেই ধলতার যে অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে সেটা তৃণমূলের নেতা- নেত্রীরা তাদের সংগঠনের কাজে লাগাচ্ছে। প্রতিবছরই রাজ্য সরকার বিধানসভায় কৃষকদের বিমার নামে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু আসলে এগুলো সবই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। কৃষকদের পাশে এই সরকার নেই। আজকে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা, পিএম কৃষি নিধি আছে। সেই জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কৃষকদের নামের লিস্ট চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই সরকার কৃষকদের নামের লিস্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হচ্ছে না। শস্য বীমার নাম করে এই সরকার কৃষকদের টাকা  দেয় না। আগামীদিনে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে আমি ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে কৃষকদের হয়ে আন্দোলনে নামবো।

অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের সদস্য দীনেশ টুডু জানান, কৃষকদের জন্যে যা করার তা আমাদের সরকারই করছে। আজকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কৃষকরা সুরক্ষিত নয়। সেই বিষয় নিয়ে রীতিমত আমাদের সরকার ভাবছে। পাশাপাশি কৃষকদের যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সে বিষয়েও খুব শীঘ্রই রাজ্যের কৃষি দপ্তর জানাবেন। বিরোধীদের কাজই হচ্ছে শুধু রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করা।

 

মালদা জেলার কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা দেবনাথ মজুমদার জানান, কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করার ক্ষেত্রে কৃষকদের কাছ থেকে যে বেশি পরিমাণে ধলতা চাওয়ার অভিযোগ এসেছে সেই বিষয়টি আমাদের কর্ণগোচর হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই কৃষি দপ্তরের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করছি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেও দেখা হবে। আর কৃষকদের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আছে সেই ক্ষতিপূরণও আশা করছি ডিসেম্বর মাসে দিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর