ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ এ যেন ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি। চূড়ান্ত অর্থনৈতিক মন্দা সামাল দিতে পাকিস্তান সরকার শেষমেশ আমেরিকায় অবস্থিত নিজেদের দূতাবাসের কিছুটা অংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল। আর এই ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে এই অংশটি কেনার ব্যাপারে অন্যদের সঙ্গে উৎসাহ দেখিয়েছে এক ভারতীয় নির্মাণ সংস্থা। বর্তমানে পাকিস্তানের যা আর্থিক পরিস্থিতি তাতে বিদেশে পাক দূতাবাসগুলোর জন্য টাকা জোগাড় করতে কালঘাম ছুটছে সরকারের। আর তাই অল্প সময়ে টাকা জোগাড় করার জন্যই ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাক দূতাবাসের একাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। ওয়াশিংটনের এই পাক দূতাবাস ইসলামাবাদের বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক দৌত্যের একটি বড় স্তম্ভ। সেইটাই বিক্রি করতে চলেছে পাকিস্তান।
সুত্রের খবর, পাকিস্তানের এই নিলামের ডাকে তিনটি সংস্থা সর্বাধিক মুল্যে সাড়া দিয়েছে। একটি ইহুদি গোষ্ঠী ৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাম দিয়েছে পাকিস্তানকে। যা এখনও পর্যন্তও সর্বাধিক। এছাড়াও একটি ভারতীয় রিয়েল এস্টেট সংস্থা পাকিস্তানের এই বিল্ডিং কেনার জন্য দর দিয়েছে। তারা দাম দিয়েছে ৫ মিলিয়ন ডলার, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর। এবং সবচেয়ে কম দর দিয়েছে পাকিস্তানেরই এক রিয়েল এস্টেট গ্রুপ।
বর্তমানে পাকিস্তানের ঋণের বোঝার অঙ্ক সেই দেশের জিডিপির ৭৯ শতাংশ। ঋণের সেই অঙ্কের পরিমাণ কমাতে পাকিস্তানের হাতে আর সময় রয়েছে তিন সপ্তাহ। কারণ, ইসলামাবাদের কাছে বাকি আর পড়ে রয়েছে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দিয়ে বড়জোর সেদেশের সরকার তিন সপ্তাহ চালাতে পারবে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে পাক সেনাবাহিনীর গাড়ি ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। কারণ, সেনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি কেনার সামর্থ্য নেই পাক সরকারের।
এমতাবস্থায় পাক মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলার ডেরেক শোলেট বলেন, ‘আমাদের উদ্বেগ নিয়ে আমরা খুবই স্বচ্ছ, শুধু পাকিস্তানই না পাকিস্তান বাদেও বিশ্বের অনেক দেশ চিনের থেকে ঋণ নিয়েছে। আমরা তাঁদের নিয়েও চিন্তিত’।