রাজীব ঘোষ, ২০ সেপ্টেম্বর: চালু হলো পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা | কারা পাবেন এই সুবিধা?
দেশের সাধারণ বাজেটে বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩-২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget) পেশের সময়ে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করার কথা জানানো হয়। এই প্রকল্পে সাধারণ বাজেটেই উল্লেখ রয়েছে, ২০২৩- ২৪ আর্থিক বছর থেকে ২০২৭-২৮ আর্থিক বছর পর্যন্ত পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এলপিজি কানেকশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে | ঘোষণা মোদী সরকারের
এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য, দেশজুড়ে সমাজের সমস্ত স্তরের শিল্পী ও কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা পাশাপাশি তাদের সহায়তা করা। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা সূচনা করেন। এবার এই পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার সুবিধা কারা পাবেন? কি ধরনের সহায়তা পাবেন? সরকারের তরফে নতুন এই প্রকল্পে কী কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে?
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Viswakarma Yojana) প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, গুরু-শিষ্য পরম্পরা বা বিশ্বকর্মাদের নিজেদের হাতে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র সামগ্রী দিয়ে তাদের প্রথাগত দক্ষতার পরিবারভিত্তিক পরিবেশকে আরও বেশি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা। শিল্পী-কারিগরদের পণ্য ও পরিষেবাগুলো খুব সহজে যাতে অ্যাক্সেস করা যায়, তার পাশাপাশি তাদের যোগ্যতা ও গুণমান উন্নত করা। দেশীয় ও বিশ্বব্যাপী ভ্যালু চেনের সঙ্গে তাদের একত্রিত করা।
সেই কারণেই এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ১৫ হাজার টাকার একটি করে টুল কিট (Toolkit) দেওয়া হবে। প্রতিদিন তাদের ৫০০ টাকা Stipend-সহ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। সমাজে যারা রাজমিস্ত্রি, ছুতোর, কুমোর, লোহার বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতাকে আরও উন্নত করে তোলা ও বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলা।
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে তহশীল বা জেলা সদরে অবস্থিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ বিভাগ এটিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করবে। যেটা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে আরও বেশি করে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি হবে।
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় কী কী সুবিধা থাকবে?
প্রথম পর্যায়ে সুবিধাভোগীদের ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে, সুদ ৫ শতাংশ হারে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ, ৫ শতাংশ হারে সুদ।
প্রতিদিন ট্রেনিংয়ের সময় ৫০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে।
Toolkit কেনার জন্য শিল্পীদের ১৫০০০ টাকা দেওয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ ১৮ মাস ও দ্বিতীয় পর্যায়ের মেয়াদ ৩০ মাস।
টাকা পরিশোধ করার সময় ডিজিটাল লেনদেন করলে ১ টাকা করে সরকার ইনসেনটিভ দেবে।
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় সার্টিফিকেট ও পরিচয় পত্র দেওয়া হবে।
কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?
যেকোনও কমন সার্ভিস সেন্টারের (CSC) মাধ্যমে বিশ্বকর্মাদের বিনামূল্যে বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টাল ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। পিএম বিশ্বকর্মা সার্টিফিকেট ওআইডি কার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।
কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
আবেদনকারীর আধার কার্ড, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, মোবাইল নম্বর, কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে), পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন?
রাজমিস্ত্রি, ছুতোর, কুমোর, কামার, স্বর্ণকার, মালাকার, নাপিত, ধোপা, দর্জি, অস্ত্রকার, ভাস্কর, পাথর খোদাইকারী ও পাথর ভাঙ্গা, মুচি, ঝুড়ি, মাদুর প্রস্তুতকারক, পুতুল ও খেলনা নির্মাতা-সহ অন্যান্যরা। ইভিএম নিউজ