ব্যুরো নিউজ,২৭ আগস্ট:আরজি কর কাণ্ডের জেরে এবার কলকাতার জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিভিন্ন কার্যালয়ে সময়ের ফতোয়া জারি করা হল সেখানকার গবেষক ও মহিলা কর্মীদের জন্য। কর্তৃপক্ষের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতার সদর দপ্তরে সমস্ত মহিলা কর্মী সিনিয়র, জুনিয়র ,রিসার্চফেলো, পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো ,রিসার্চ এসোসিয়েট ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের কাজের সময় বেঁধে দিল জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ZSI )। ১৯৬৪ সালে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট অনুযায়ী আগাম সর্তকতা হিসাবে সকাল পৌনে দশটা থেকে সন্ধ্যে সোয়া ছটা পর্যন্ত অফিস টাইম বলে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। ওই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ও পরে কেউ কাজ বা গবেষণা করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কোন অবস্থাতেই সন্ধ্যে সোয়া ছটার পর অফিসে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
সুন্দরবনে দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। আপ্লুত পর্যটকরা
ছুটির দিনে গবেষণায় নিষেধাজ্ঞা
গ্যাস সিলিন্ডারের এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাবেন না!যখন তখন ফাটতে পারে বোমের মতো
জেড এস আই-এর ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কোন মহিলা কর্মী গবেষকদের উদ্দেশ্যে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড স্ট্যাটুইটরি অ্যাডভাইস। কোন মতেই তারা ওই নিয়ম ভাঙতে রাজি নয়। তাছাড়া তাদের দপ্তরে নাইট ডিউটির কোন সুযোগ নেই।
নতুন সাফল্যের খোঁজে ইসরোর চন্দ্রযান 4
একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে যদি নির্ধারিত সময়ে আগে ও পরে গবেষণার কাজ করতে হয় তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের অনুমতি নিতে হবে। তবে শনি ও রবিবার সেখানে কোন কাজ হয় না ছুটি থাকে। ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন শনি রবিবার সেখানে নানান ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়। বাইরের লোক যাতায়াত করেন। ফলে সেখানে ছুটির দিনে কাজের কোন সুযোগ থাকে না। সেই সঙ্গে সাধারণ অফিস টাইমে বাইরে অন্তত দুজন যদি বা অনেক মহিলা একসঙ্গে দল বেঁধে কাজ করতে চায় তখন তাদের কাজ ও গবেষণার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সেই গবেষণা বা কাজের কতটা প্রয়োজন আছে সেটি বিচার করে দেখবে কর্তৃপক্ষ। সে বিষয়ে সেখানকার মহিলা কর্মীরা মুখ খুলেছেন। তারা বলেন আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। প্রাচীন নিয়ম কানুন আমরা মানতে রাজি নই। নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কাজ। সেই দায়িত্ব কর্তৃপক্ষেরও। কিন্তু সেজন্য গবেষণার কাজ থমকে যাবে তা হতে পারে না একেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গবেষণার কাজ শেষ করা যায় না। তারপরে সময়ের ফতোয়া দিলে কোন ভাবেই কাজ করা যাবে না। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবনাচিন্তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।