ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার শনিবার থেকে পাঁচ দিনের জন্য দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের ইস্তাহার বিলির কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ, যেটি বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এই সিদ্ধান্তের পরেই দেশজুড়ে গ্রেফতারি অভিযান শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে, ইউনূস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “আওয়ামী লীগ অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে এবং সরকারকে অপমান করছে। এই ধরনের কর্মসূচি, যেমন ইস্তাহার বিলি, থেকে বিরত না হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সইফ আলি খানের সাহসী প্রত্যাবর্তন
তীব্র বিরোধিতা
এই ঘোষণার পর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম শফিকুল আলমের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “শফিকুল আলমের মতো একজন ব্যক্তি দেশের সরকারের প্রধান না হয়ে দেশের জনগণের কাছে কোনো গুরুত্ব পান না। তিনি শুধু সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, যা জনগণ এখন মেনে নেয় না।” তাঁর অভিযোগ, শফিকুল আলম এখন শেখ হাসিনার ছবি আঁকা ডাস্টবিনে কাগজ ফেলছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এসব ছবি পোস্ট করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাইছেন।
রেল প্রকল্প আটকে রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে রেলমন্ত্রীর অভিযোগ
এদিকে, ঢাকা শহরের একুশের বইমেলায় কোটা-বিরোধী ছাত্ররা কিছু ডাস্টবিন বসিয়ে সেখানে হাসিনার ছবি আঁটকে দেয়। শফিকুল আলম এই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে নেটিজেনরা তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেন। তারা দাবি করেন, শফিকুল একসময় আওয়ামী লীগের প্রতীক নিয়ে ছবি পোস্ট করতেন, কিন্তু এখন সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। শফিকুল এর পরে সেই পোস্ট সরিয়ে নেন, কিন্তু সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে প্রচুর মন্তব্য আসে এবং তাকে ‘মিস্টার ডাস্টবিন’ নামে অভিহিত করা হয়। বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে আরও আলোচনায় নিয়ে এসেছে। জনগণ তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না, তবে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত তাদের আরও সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ দল নয়। সরকার কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? এর আগে সরকারের উচিত ছিল রাজনৈতিক স্তরে আলোচনা করা।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না, যদি তারা নিজেদের অপকর্ম এবং দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়।এদিকে, আওয়ামী লীগ দাবি করেছে যে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন করলেও তাদের কর্মসূচিতে অভাবনীয় সাড়া মিলছে। তারা জানায়, ১৬ তারিখে ‘বিশ্ব ইজ়তেমা’-র কারণে তাদের অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে এবং ১৭ তারিখে দেশব্যাপী মশাল মিছিলের ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডাকা হয়েছে।