ব্যুরো নিউজ, ২১ নভেম্বর : ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এটি হতে পারে জীবনের অন্যতম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। প্রায় ১৮,৭৫৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই যাত্রা শুরু হয় পর্তুগালের লাগোস থেকে এবং শেষ হয় সিঙ্গাপুরে। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ২১ দিন। যাত্রাপথে ১৩টি দেশ অতিক্রম করার পাশাপাশি, যাত্রীদের জন্য রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নানা সংস্কৃতি উপভোগের সুযোগ।
প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীণ আবাস যোজনায় গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের নতুন পদক্ষেপ
যাত্রাপথের বিবরণ
পর্তুগালের লাগোস থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি স্পেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরে পৌঁছায়। এই ভ্রমণ পথে বড় বড় শহর যেমন প্যারিস, মস্কো, বেইজিং, ব্যাংকক ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ট্রেনটি এগিয়ে চলে। ট্রিপে রয়েছে ১১টি নির্ধারিত স্টপেজ এবং যাত্রাপথে যাত্রীদের রাত্রিবাসের সুযোগ। ফলে পর্যটকরা স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যও ঘুরে দেখার সুযোগ পান।
খরচ ও ভ্রমণের পরিকল্পনা
এই দীর্ঘ যাত্রার জন্য খরচ গড়ে ১,৩৫০ মার্কিন ডলার। তবে, পরিকল্পনা করার সময় যাত্রীদের পাসপোর্ট, ভিসা, এবং অন্যান্য নথি সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা জরুরি। কিছু অংশে, যেমন ভিয়েতনাম থেকে কম্বোডিয়া বা মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর জন্য বাস যাত্রার প্রয়োজন হতে পারে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪১টি নার্সিংহোমকে শোকজ, উঠছে অনিয়মের অভিযোগ
যাত্রা সম্ভব হল কীভাবে?
এই রোমাঞ্চকর ট্রেন যাত্রা সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন দেশের রেল সংস্থা ও সংযোগ প্রকল্পের সহযোগিতার মাধ্যমে। কুনমিং থেকে লাওসের ভিয়েনতিয়েন পর্যন্ত নতুন রেলপথ ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে। এর ফলে শুধু পর্যটন নয়, লাওসের অর্থনীতিও উন্নত হয়েছে।
কেন এ যাত্রা বিশেষ?
পর্তুগাল থেকে সিঙ্গাপুরের এই ট্রেন ভ্রমণ সাম্প্রতিক সময়ে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একদিকে যাত্রাপথে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য, অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, শহর, এবং মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ, এই যাত্রাকে স্বপ্নের মতো করে তুলেছে। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একবারের জন্য হলেও চেষ্টা করার মতো একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।